সাইনাসের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া প্রতিষেধক

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
মাথার ভেতর দপদপ করে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তি কপাল, গাল ও চোখেও চাপ অনুভব করেন। এ রোগের কারণ সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাস, তাই বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। ওষুধ ছাড়াও সাইনাসের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া প্রতিষেধক ব্যবহার করা যায়। জেনে নিন পদ্ধতিগুলো-

ভাপ নেওয়া : নাকের ক্যাভিটি বা খালি স্থানে এবং সাইনাসের যাতায়াতের পথে ‘মিউকাস’ বা শ্লেষ্মা জমে শুকিয়ে শক্ত হয়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে গরম পানির ভাপ গ্রহণ করলে এই জমে থাকা ‘মিউকাস’ পাতলা হবে এবং এর স্বাভাবিক অপসারণ সহজ হবে।

গরম পানি দিয়ে গোসল করার সময় লম্বা শ্বাস নিলে উপকার পাওয়া যায়। আবার একপাত্র পানি গরম করে তার ওপর মুখ রেখে নাক দিয়ে শ্বাস নিলেও কাজ হয়। বাষ্প আটকে রাখার জন্য মাথা থেকে লম্বা তোয়ালে ঝুলিয়ে গরম পানির পাত্র ঢেকে রাখতে হবে। চাইলে ওই গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ‘এসেন্সিয়াল অয়েল’ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

গরম সেঁক দেওয়া : মুখের যে স্থানে সাইনাসের চাপ অনুভব হচ্ছে সেখানে এক টুকরা গরম কাপড় দিয়ে চাপ দিলে আরাম পাওয়া যায়। চোখ ও নাকের ওপর সেঁক দিলে বন্ধ নাক খুলে যায।

ঝাল খাবার : শুনতে অবাক লাগলেও ঝাল খেলে সাইনাসের সমস্যার সাময়িক সমাধান পাওয়া যায়। ঝাল মরিচে থাকে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক উপাদান, যা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক। আর এ উপাদানের কারণে ঝাল খেলে নাক দিয়ে পানি আসে।

পানি পান : যত বেশি পানি পান করবেন, মিউকাস বা শ্লেষ্মা ততই পাতলা থাকবে। আবার পর্যাপ্ত পানি পান করলে সাইনাস আর্দ্র থাকবে, ফলে ভালো অনুভব করা যাবে। আর গলা শুকিয়ে যায় এমন যে কোনো খাবার বা পানীয় থেকে বিরত থাকতে হবে।

দারুচিনি : এ মসলায় রয়েছে প্রদাহরোধক গুণ। সাইনাসের ব্যথা অতিরিক্ত হয়ে গেলে দারুচিনিতে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

গুনগুনিয়ে গান গাওয়া : আক্কেল গুড়ুম হয়ে যাওয়া এই উপায়ও নাকি কার্যকর, দাবি করেছেন কিছু সুইডেনের বিশেষজ্ঞ। এক মিনিট বা তারও বেশি সময় প্রিয় গানটি গুনগুনিয়ে গাইলে সাইনাসজনিত মাথাব্যথা কমে।
সূত্র : এবিনিউজ২৪