সিপিবি কৃষক শ্রমিক মজুরের অধিকারের কথা বলে : মুনজুরুল আহসান

নির্বাচনী গণযোগে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী মুনজুরুল আহসান খান। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

সাহিদুর রহমান
ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

কমিউনিস্ট পার্টি কৃষকের কথা বলে, শ্রমিকের কথা বলে, মজুরের অধিকার আদায়ের কথা বলে। আমাদের কোনো হুন্ডা বাহিনী, গুন্ডা বাহিনী নেই। আমরা টে-ারবাজি, ব্যাংক লুট করি না। নিজের টাকা খরচ করে শোষিত নিপীড়িত মানুষের জন্য রাজনীতি করি।

১৭ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর বাজার, পোড়ারচর বাজার ও কান্দার চর বাজার এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি’র কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী মুনজুরুল আহসান খান।

মুনজুরুল আহসান খান বলেন, আওয়ামী লীগ তার ২৩ দফা বাস্তবায়ন করেনি। এদেশের ঘরে ঘরে মানুষের চাকরি হয়নি। বরং মেথরের চাকরি নিতে গিয়ে দশ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। কাউকে আবার চাকরি ও টাকা দুটোই হারাতে হয়েছে। এ ছাড়া গ্রামীণ পর্যায়ে সরকারি সাহায্য যেমন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ১০ টাকা কেজি চাল, ভিজিডি, ভিজিএফ এর ক্ষেত্রেও হতদরিদ্র মানুষকে ঘুষ দুর্নীতির শিকার হতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কিন্তু সিপিবি নির্বাচিত হলে মানুষ এসব শোষণ নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষা পাবে। কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে, শ্রমিক পাবে তার সঠিক প্রাপ্য মুজুরি। ইসলামপুরের মানুষকে বন্যা ও নদীভাঙ্গণের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সুপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলা হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভিশন ৭১ বাস্তবায়ন করা হবে।

এবারের নির্বাচনে নিজের সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এবার মানুষ আওয়ামী লীগ বিএনপি’র বিকল্প কিছু ভাবছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। তারা প্রতীক নির্ভরতা ও পারিবারিক ক্ষমতাতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে কাস্তে প্রতীককে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছে। কিন্তু কাস্তে প্রতীক তার কাজ স্বাভাবিক গতিতে করতে পারছে না। প্রচার কাজে দেওয়া হচ্ছে বাধা, প্রার্থীদের উপর হচ্ছে হামলা। আমরা অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। নির্বাচনী পরিবেশ এখনও সবার জন্য সমান তৈরি হয়নি। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ প্রমাণ করতে হলে লেভেল প্লে ফিল্ড তৈরি করতে হবে। নইলে একাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে ৫ জানুয়ারির পূণরাবৃত্তি।