নকলায় আশাতীত উন্নয়নে এলজিইডি

ভোগাই নদীতে রাবার ড্যাম প্রকল্প। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

শফিউল আলম লাভলু
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি, বাংলারচিঠি ডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় গত ১০ বছরে শিক্ষা, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আশানুরূপ বাস্তবায়ন করেছে। চলমান আছে বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।

এলজিইডি’র বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে শিক্ষা খাতে উপজেলায় ৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ২৩ কোটি ২৪ লাখ ৫২ হাজার টাকার কাজ বাস্তবায়ন করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ৯০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩টি ছোট বড় সেতু, কালভার্ট নির্মাণের মাধ্যমে দৃশ্যমান উন্নতি স্বাধন হয়েছে। যোগাযোগ উন্নয়নে ৬৮ কোটি ৫৭ লাখ ৭২ হাজার ২১০ টাকার কাজ বাস্তবায়ন করে নকলা উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়।

এ ছাড়া উপজেলার উরফা ইউনিয়নের তাড়াকান্দা এলাকায় ভোগাই নদীর উপর ১০০ মিটার রাবার ড্যাম নির্মাণ ও এইচবিবি রাস্তা উন্নয়নে ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং রাবার ড্যামের জন্য তিনটি রেগুলেটর নির্মাণ ও ভোগাই নদীর পার মাটি দ্বারা ভরাট করতে ৮৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩০৬ টাকা; উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ২ কোটি ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭৯ টাকা, পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পাঁচটি বাড়ি (মুক্তি নিবাস) নির্মাণে ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ২২২ টাকা, নকলা উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ৫ কোটি এক লাখ ৭২ হাজার ২৪১ টাকার কাজ করে এলজিইডি। ৫০০ আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল নির্মাণে ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার ২৮২ টাকা এবং চন্দ্রকোণা বাজার উন্নয়নে এক কোটি ৮ লাখ ৮ হাজার ২১৫ টাকা, গণপূর্ত বিভাগের অধীনে শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ভবন নির্মাণ ও আলু হিমাগারের কাজ বাস্তবায়ন করছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী বিভূতী মোহন পাল বলেন, গত দশ বছরে নকলা উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা সত্যিই আশাতীত। অন্য কোন উপজেলাতে এমন অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে কি-না তাতে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জানান, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর প্রচেষ্টা, দিক নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোশকতায় নকলায় যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে উপজেলাবাসী আজ মহাখুশি। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় উন্নয়ন কাজের দরুণ নকলার প্রতিটি এলাকা আজ মডেলে পরিণত হতে চলছে।