বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করার ঘটনা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে নির্যাতিতা স্ত্রীকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী ও দেবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৮ মে বিকালে উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের চুড়িয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের যৌতুকের মামলা রুজু হয়েছে।
জানা গেছে, বাট্টাজোড় ইউনিয়নের কুমড়িকান্দা গ্রামের নৈয়বর আলীর মেয়ে সোনিয়া বেগমের (২৩) সঙ্গে পাশ্ববর্তী চুড়িয়া পাড়া গ্রামের আবু বকরের ছেলে আদিল মিয়ার (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুক ও বিভিন্ন দাবিতে আদিল মিয়া তার স্ত্রী সোনিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।
১৮ মে বিকালেও আদিল মিয়া তার স্ত্রী সোনিয়াকে নির্যাতন করে একটি ঘরে আবদ্ধ করে রাখেন। এ খবর পেয়ে সোনিয়ার বাবা নৈয়বর আলী তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য গেলে উল্টো নৈয়বর আলীকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
উপায়ন্তর না দেখে নৈয়বর আলী হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে সাহায্য চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ নির্যাতনের শিকার সোনিয়া বেগমকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন।
মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় সোনিয়ার বাবা ওই রাতেই বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে স্বামী আদিল মিয়া, চাচাত দেবর আলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের ১৯ মে সকালে জামালপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলার চিঠি ডেস্ক : 
















