জামালপুর এক্সপ্রেস ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি এবং অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের পুরাতন কোচ পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আসাদুজ্জামান আসাদ স্মারকলিপি দু’টি জমা দেন।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলাবাসীর ঢাকায় যাতায়াতের প্রধান ও আরামদায়ক মাধ্যম ট্রেন। ঢাকা-জামালপুর-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি রুটে পাঁচটি আন্তঃনগর ছাড়াও কয়েকটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন নিয়মিত যাতায়াত করে। এরমধ্যে বর্তমানে যাত্রী ভোগান্তির অপর নাম আন্তঃনগর জামালপুর এক্সপ্রেস ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস। ট্রেন দু’টির সময়সূচি পরিবর্তনের দাবি দীর্ঘদিনের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আসাদুজ্জামান আসাদ স্মারকলিপিতে উল্লেখ থাকা দাবিগুলো প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লাল-সবুজের জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি তারাকান্দিতে পৌঁছে বিকালে। কিন্তু ঢাকা যেতে যেতে গভীর রাত হয়ে যায়।
অন্যদিকে অগ্নিবীণা ট্রেনটির সময়সূচি প্রায় একই সময়। দু’টি ট্রেন একই রুটে অল্প কিছুক্ষণের ব্যবধানে যাতায়াত করায় অনেক সময় যাত্রী স্বল্পতা হয়। ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত ও লোকসান গুণতে হয়। গভীর রাতে ট্রেন থেকে নামার ফলে যাত্রীদের ছিনতাইয়ের শিকারসহ জীবন থাকে ঝুঁকির মুখে।
তিনি আরও বলেন, দু’টি ট্রেনের যেকোনো একটি ঢাকা থেকে সকালে ছেড়ে দুপুরে তারাকান্দি এবং পুনরায় তারাকান্দি থেকে দুপুরে ছেড়ে সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছার সময়সূচি করা হোক। কিংবা যেকোনো একটি ট্রেন ঢাকা থেকে রাতে তারাকান্দিমুখী এবং ভোরে তারাকান্দি থেকে ঢাকায় পৌঁছার সময়সূচি নির্ধারণ করা জরুরি। পাশাপাশি অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুরাতন হওয়ায় কোচ পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার আসে সরকার যায়। কিন্তু ঢাকা-জামালপুর-তারাকান্দি রুটে রেলসেবার মান উন্নয়ন হয় না। যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে লিখিত আবেদন করেছি। দাবি পূরণ হলে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতসহ যাত্রী ভোগান্তি দূর এবং উভয় ট্রেনের যথাযথ ব্যবহার হবে। এতে আর্থিক লোকসানও কমবে।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় ঢাকাস্থ সরিষাবাড়ীর সংবাদকর্মী বোরহান উদ্দিন ও ঢাবি শিক্ষার্থী আজিজুল হক রুদ্র উপস্থিত ছিলেন।
মমিনুল ইসলাম কিসমত : নিজস্ব প্রতিবেদক, সরিষাবাড়ী, বাংলারচিঠিডটকম 


















