জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের বিক্ষুব্ধ গ্রাহক জনতা ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ-ডিএনবি নামের একটি ভুয়া এনজিও কর্মকর্তা ফজলুল হককে আটক করেছে।
স্থানীয় জনগণের সাথে প্রতারণার অভিযোগে ১ অক্টোবর, বুধবার তাকে বেলুয়ারচর এলাকা থেকে আটক করা হয়। ফজলুল হক গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বেতারা গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক ফজলুল হক এক মাস আগে উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের তারাটিয়া শেখপাড়া গ্রামের সৈয়দ জামালের বাড়িতে দু’কক্ষের একটি বাড়ি মাসিক তিন হাজার টাকায় মৌখিক চুক্তিতে ভাড়া নেন। তিনি সেখানে ডিএনবি সংস্থা নামের একটি এনজিওর অফিস চালু করে সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নারীদের নিয়ে কমিটি করেন।
প্রতিটি কমিটিতে ১০ থেকে ১৫ জন করে সদস্য করা হয়। প্রতি সপ্তাহে সদস্যদের মাঝে ঋণ দিয়ে ছাগল, গরু, সেলাই মেশিন ইত্যাদি কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে সপ্তাহে ৫০ থেকে ১০০ টাকা সঞ্চয় আদায় করেন। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন গ্রাহক ঋণ এবং সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে পারেননি।
৩০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার পাররামরামপুর ইউনিয়নের বেলুয়ার চর এলাকায় সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে গেলে বিক্ষুদ্ধ জনতা ওই সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক পরিচয়দানকারী ফজলুল হককে আটক করেন। পরে তারা তাকে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মিয়ার জে কে’র কাছে নিয়ে যান। ইউপি চেয়ারম্যান সংস্থাটির শাখা ব্যবস্থাপক ফজলুল হককে একদিনের সময় দিয়ে এলাকা থেকে উত্তোলিত টাকা এবং ডিএনবি’র সঠিক কাগজ আনতে বলেন।
কিন্তু ফজলুল হক গ্রাহকদের টাকা ফেরত ও এনজিওর কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া জে কে ১ অক্টোবর, বুধবার রাতে ফজলুল হককে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় গোলাম খাজা নামে একজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, আটক ফজলুল হকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ভুক্তভোগী গোলাম খাজার দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে ১ অক্টোবর দুপুরে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের আদেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।