জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় একটি পরিবারের মা ও তার চার ছেলের পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই নারীর দুই ছেলে মনিরুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম। ৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের দেওয়ানগঞ্জ টাওয়ারে একটি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কার্যালয়ে তারা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের খড়মা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, ১ সেপ্টেম্বর, সোমবার ছামিউল ইসলাম মিন্টু ও নুরুন্নবী আজাদের প্ররোচণায় সহোদর বড় ভাই আমিরুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় গরু চুরির অভিযোগ করেন তাদের মা আনোয়ারা বেগম। এ নিয়ে একটি দৈনিক ও কিছু অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়। বিগত কয়েক মাস ধরে মা ও চার ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। সময়ে অসময়ে বাগবিতন্ডাও হয় তাদের মধ্যে।
একপর্যায়ে তাদের ছোট দুই ভাই ছামিউল ইসলাম মিন্টু ও নুরুন্নবী আজাদ বড় ভাই মনিরুল ইসলামের কেনা সম্পত্তির ভোগদখল ছেড়ে না দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ দিনের বিরোধের জেরে ছামিউল ইসলাম মিন্টু ও নুরুন্নবী আজাদ বড় ভাই মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন এবং তার বাবার কবরের পাশে জীবিত ভাইয়ের কবর খুঁড়ে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে মনিরুল ইসলাম দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ছোট দুই ভাই ছামিউল ইসলাম মিন্টু ও নুরুন্নবী আজাদ মা আনোয়ারা বেগমকে ফুঁসলিয়ে ১ সেপ্টেম্বর গরু চুরির অভিযোগ দেন বড় দুই ভাই আমিরুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পারিবারিক কলহের জের ধরে এমন কাজ করেছে তারা।
ভূক্তভোগী আমিরুল ইসলাম বলেন, গরু চুরির ঘটনাটি একটি সাজানো নাটক। তাদের ফাঁসানোর জন্য মা আনোয়ারা বেগমকে দিয়ে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করিয়েছে তাদের ছোট দুই ভাই।
তবে ছামিউল ইসলাম মিন্টু অভিযোগ অস্ববীকার কেরে বলেন, গরু চুরি বিষয়ে মাকে তারা কোন প্ররোচণা দেননি। তারা বড় ভাইদের ফাঁসানোর পাঁয়তারা বা চেষ্টায় লিপ্ত নন। সেই সাথে বড়ভাই মনিরুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দিয়ে কোন প্রকার কবর খুঁড়েননি তারা ছোট দুই ভাই।