জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সুইটি নামের এক নারীকে শারীরিক নির্যাতন ও সন্তানদের ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামী আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে একসাপ্তাহ ধরে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন ভুক্তভোগী সুইটি। ২৭ জুলাই, রবিবার দুপুরে দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের চরকালিকাপুর বাজারীপাড়ায় তার সাবেক স্বামী আরিফুল ইসলামের বাড়িতে অনশনকালে সংবাদ সন্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী দুই সন্তানের মা সুইটি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালে ইসলামী শরিয়তমতে দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের চরকালিকাপুর বাজারীপাড়ার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন বাদশার ছেলে মো. আরিফুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তিন সন্তান জম্ম গ্রহণ করে। তাদের মধ্যে এক সন্তান মারা যায়। বর্তমান দুই ছেলে সন্তান আছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র আমার দেনমোহর পরিশোধ না করে ২০২০ সালে আমাকে তালাক দেন আরিফুল ইসলাম। আমি দুই ছেলে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করি।
তিনি আরও বলেন, সন্তানদের ভরণপোষণের খরচ দেওয়ার কথা থাকলেও আরিফুল ইসলাম কোন খরচ না দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে নিয়ে সংসার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কয়েক মাস থেকে আরিফুল ইসলাম আমার সন্তানদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। আমাকে কয়েক দিন ডেকে এনে দেওয়ানগঞ্জের ব্রহ্মপুত্র হোটেলে কথা বলেন। ১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার আমার বড় ছেলে নাহিনকে তার দাদি খবর দিয়ে তাদের বাড়িতে আনেন। তিনদিন পর আরিফুল ইসলাম আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসতে বললে আমি ২০ জুলাই, রবিবার বিকালে আরিফুল ইসলামের বাড়িতে আসি। আসার পর আরিফুল ইসলাম ও তার মা আছমা বেগম, চাচা মহিবুল হক যুবরাজ, নবাব আলী, ফুফু শাশুরি আশা আমাকে নির্যাতন করেন। বাড়িঘর তালা দিয়ে তারা চলে যান। আমি নিরুপায় হয়ে গত এক সাপ্তাহ ধরে তাদের রান্না ঘরের বারান্দায় মানবেতর অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছি।
ভুক্তভোগী সুইটি আরও বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে আমাকে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করার বিচার চাই। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমি যাব না। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
এদিকে সুইটির স্বামী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা ও মাকে অপমান অপদস্ত ও শারীরিক নির্যাতন করত সুইটি। এ সমস্ত অন্যায়কে প্রতিবাদ জানাই। নিরুপায় হয়ে ২০২০ সালে সুইটিকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালাক দিয়েছি। এ ব্যাপারে আমি দেওয়ানগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। সুইটি আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে সামাজিক গণমাধ্যমে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম কুৎসা রটাচ্ছে।