প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার শতদল বহুমুখী সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মীর মোস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকা থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে সমবায় সমিতির ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। তিনি মাদারগঞ্জ পৌরসভার বাণিকুঞ্জ এলাকার মীর সোলাইমানের ছেলে।
২৯ মে, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। ৩০ মে, শুক্রবার দুপুরে মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন শতদল বহুমুখী সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মীর মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাদারগঞ্জের ২৩টি সমবায় সমিতির প্রায় ৩৫ হাজার গ্রাহক তাদের আমানতের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ফেরত ও প্রতারক সমবায় সমিতির পরিচালকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও, থানার প্রধান ফটকে অবস্থান ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সমিতির গ্রাহকেরা বিগত সময়ে মাদারগঞ্জ থানায় ছয়টি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সমবায় সমিতিগুলোর ২২ জন পরিচালকের বিরুদ্ধে ৪৪টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ জারি করেন আদালত।
২৯ মে রাতে উত্তরার একটি বাসায় মীর মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় সমিতির গ্রাহকেরা। পরে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
উল্লেখ্য, শতদল বহুমুখী সমবায় সমিতিতে প্রায় ১২ হাজার গ্রাহক প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আমানত রেখেছেন।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন এ প্রতিবেদককে বলেন, ২৯ মে রাতে ম মীর মোস্তাফিজুর রহমানকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ৩০ মে সকালে তাকে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তার বিরুদ্ধে আটটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। দুপুরে তাকে জামালপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সমিতির অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।