দল জিতলে সেঞ্চুরিটা বিশেষ হতো সৌমের কাছে

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির পরও নিউজিল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে হেরে যাওয়ায় নিজের ক্যামিও ইনিংসটি উদযাপন করতে পারলেন না টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার।

প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থেকেই নিউজিল্যান্ড সফরে খেলতে এসেছিলেন ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা সৌম্য। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ৪৪ রানের হারের পেছনে সৌম্যর বাজে পারফরমেন্সকে অনেকেই দায়ী করেছিলেন। ব্যর্থতার ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংসে বেশ কিছু রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন সৌম্য।

দ্বিতীয় ম্যাচের পর সৌম্য বলেন, ‘আমি আমার শতরান নিয়ে খুশি কিন্তু দল হেরে যাওয়ায় হতাশ। দল জিতলে এই সেঞ্চুরি বিশেষ কিছু হতো।’

১৫১ বল খেলে ১৬৯ রানের রেকর্ডময় ইনিংস খেলেন সৌম্য। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসে কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ১৬৩ রানের রেকর্ড ভাঙ্গেন সৌম্য। তার ইনিংসটি দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। ইনিংসের শুরুর দিকে বেশ নড়বড়ে ছিলেন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরির পর তিনবার জীবন পান এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।

কিন্তু ১১৬ বলে ১০০ রান করার পর পুরানো রুপে ফিরেন সৌম্য। এরপর মাত্র ৩৫ বলে শেষ ৬৯ রান করেন তিনি। এতে ওয়ানডেতে তামিম ইকবালকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিক হন সৌম্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তামিমের ১৫৮ রানের ইনিংসটি এতোদিন দ্বিতীয়স্থানে ছিলো। বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ১৭৬ রানের মালিক লিটন দাস।

সৌম্যর মহাকাব্যিক ইনিংস সত্ত্বেও ব্যাটিং স্বর্গে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় ২৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। নিজেদের ইনিংসে প্রথম ১৭তম ওভারের মধ্যে ৮০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়েছিলো টাইগাররা।

জবাবে ৪৬ দশমিক ২ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯৬ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড।

সৌম্যর মতে ৩৫০ রানের কাছাকাছি সংগ্রহ পেলে নিউজিল্যান্ডকে চাপে রাখা যেতো। তার দৃষ্টিতে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট না হারালে বড় স্কোর সম্ভব হতো।

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট না হারতাম, তাহলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতো। ইনিংসের মাঝে আমরা দু’টি জুটি গড়েছি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময় উইকেট হারিয়েছি। এমনটা না হলে আমরা বড় সংগ্রহ পেতাম।’

সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে তিনবার শূণ্যতে আউট হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন সৌম্য। তারপরও চাপের মধ্যে থেকে সৌম্যর অনুপ্রাণিত হওয়া এবং ঘুড়ে দাঁড়ানো সহজ ছিল না।

সৌম্য বরেণ বিশেষ কিছু করেননি। নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা নেটে কঠোর অনুশীলন করেছি। আমি অনেকদিন পর দলে এসেছি। খুব বেশি চিন্তা করছি না। শুধুমাত্র বলে ফোকাস রেখেছি এবং নিজের খেলাটা খেলার চেষ্টা করেছি।’

সৌম্য আরও জানান, মিড-উইকেটের উপর দিয়ে নেওয়া পুল শট তাকে স্বাভাবিক খেলায় ফিরতে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।