স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কারিগরি দক্ষতার বিকল্প নেই : দেওয়ানগঞ্জ ইউএনও

প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ব্যবসা সহায়তা উপকরণ ও সনদ পত্র বিতরণ করা হয়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম :

বর্তমান সরকার ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে কর্মসক্ষম বেকার যুবক, যুবতীদের কারিগরি জ্ঞান, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কারিগরি দক্ষতার বিকল্প নেই। ৩০ নভেম্বর স্ট্রমি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি প্রশিক্ষণ শেষে যুবক, যুবতীদের মাঝে ব্যবসা সহায়ক উপকরণ এবং সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। তিনি সিডস কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করে কার্যক্রম সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আহসানুল হাবিব, উন্নয়ন সংঘের সিডস প্রকল্পের শিক্ষা বিষয়ক কর্মসূচি কর্মকর্তা মো. সায়েদুল ইসলাম, উপজেলা সমন্বয়কারী রবিউল এমরান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য, সাংবাদিক, সরকারি, বেসরকারি প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং উন্নয়ন সংঘের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিতরণ অনুষ্ঠানের আগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

উল্লেখ্য, নরওয়েভিত্তিক দাতা সংস্থা স্ট্রমি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় উন্নয়ন সংঘ ২০১৯ সালে মর্যাদা ও স্থায়িত্বশীলতার সাথে আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়তন (সিডস)’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে। জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ও বকশীগঞ্জ উপজেলার দুই হাজার ৫০০ পরিবার লক্ষভুক্ত করা হয়। এ কার্যক্রমের ফলে প্রায় ১৫ হাজার নারী, পুরুষ, প্রতিবন্ধী, শিশু, কিশোর, কিশোরীরা নানাভাবে উপকৃত হয়। এরমধ্যে ৬০৭ জন যুবক, যুবতী বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি প্রশিক্ষণ পেয়ে আত্মকর্মসংস্থান খোঁজে নিয়েছে।

কর্মসূচির মূল কাজের জায়গা ছিল মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন, সুশীল সমাজকে শক্তিশালী করা এবং জীবিকায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। কর্মসূচিটি ৫ বছর শেষে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়ে যাবে।

সংস্থা সূত্র জানায়, কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কর্মএলাকায় জানুয়ারি মাস থেকে নতুন আঙ্গিকে কাজ শুরু হবে।