ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরিষাবাড়ীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলা মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২ ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে প্রয়াত যুবদলনেতা বুলবুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত ৯ ঘন্টা পর অপহৃতা বন্যাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার ঐতিহ্য বিএনপি ও শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় দুই নেতার সুস্থতা কামনায় জামালপুরে দোয়া মাহফিল জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ডিসিকে স্মারকলিপি মেলান্দহে পুষ্টি সমন্বয় কিমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ জায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী।

৪ আগস্ট সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লাহ কায়সারের সাথে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কারফিউ ছিল। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে শুরু করে তার প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেন নি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে বড় করে তুলেন তার দু’সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে শহীদ জায়া অধ্যাপক পান্না কায়সারের অবদান অপরিসীম। সংসার জীবনে আবদ্ধ না থেকে পান্না কায়সার দায়িত্ব নিয়েছেন লাখো কোটি শিশু-কিশোরকে সোনার মানুষে পরিণত করার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ এর সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৯০-তে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা’ খেলাঘরের মাধ্যমে এই স্লোগান সারাদেশের শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

তিনি বাংলাদেশের একজন ঔপন্যাসিক, গবেষক ও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এই শহীদ জায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

সরিষাবাড়ীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলা

সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই

আপডেট সময় ১০:০৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ জায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী।

৪ আগস্ট সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লাহ কায়সারের সাথে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কারফিউ ছিল। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে শুরু করে তার প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেন নি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে বড় করে তুলেন তার দু’সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে শহীদ জায়া অধ্যাপক পান্না কায়সারের অবদান অপরিসীম। সংসার জীবনে আবদ্ধ না থেকে পান্না কায়সার দায়িত্ব নিয়েছেন লাখো কোটি শিশু-কিশোরকে সোনার মানুষে পরিণত করার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ এর সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৯০-তে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা’ খেলাঘরের মাধ্যমে এই স্লোগান সারাদেশের শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

তিনি বাংলাদেশের একজন ঔপন্যাসিক, গবেষক ও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এই শহীদ জায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।