জামালপুরে গৃহকর্মীদের উপযুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরি বিষয়ক সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম:
দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গৃহকর্মীদের উন্নত জীবন ব্যবস্থা তৈরি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জামালপুর জেলায় অক্সফামের সহায়তায় উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রমোশন অফ উইম্যান এম্পাওয়ারমেন্ট এন্ড রাইটস (পাওয়ার) প্রকল্পের আওতায় গৃহকর্মীদের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে ২৫ জুলাই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। জামালপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরকত উল্লাহ সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।এতে ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী জ্যোৎস্না আক্তার।

সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন, সদর থানার নারী ও শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা জ্যোৎস্না আক্তার, প্রেসার গ্রুপের সদস্য মুখলেছুর রহমান, উপজেলা গৃহকর্মী অধিকার কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এবারত হোসেন, কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নায়েব আলী, গৃহকর্মী নাছিমা বেগম প্রমুখ। সভায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, গৃহকর্মী উন্নয়ন সংঘের কর্মীরা সংলাপে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন।

সভা সূত্র জানায়, শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী গৃহকর্মীদের গৃহশ্রমিক হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সরকারের গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা বাস্তবায়ন, সর্বোত্তম পর্যায়ে বর্ধিত মজুরি এবং কর্মস্থলে গৃহকর্মীদের মানসম্মত কর্মঘণ্টা বজায় রাখা, নারীর জন্য ইতিবাচক মনোভাব তৈরি ও পরিবারে সহনশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে লাগসই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, গৃহকর্মীদের মধ্যে একটি প্লাটফরম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের মাঝে ঐক্য গড়ে তোলা এবং নিয়োগকর্তার পাশাপাশি পরিষেবা প্রদানকারীদের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে গৃহকর্মীদের জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা, স্থানীয় পর্যায়ে আইন ও নীতির কার্যকর বাস্তবায়নে উৎসাহিত করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং নারীর প্রতি সহিংসতা হ্রাস এবং ক্ষতায়ন করাসহ প্রকল্পের বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। ব্যতিক্রম এ কার্যক্রম সফল বাস্তবায়নে উপস্থিত সবাই সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সভায় সরকারি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, উপকারভোগীসহ ৩৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।