শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামি মাদরাসাশিক্ষক শরিফুল গ্রেপ্তার

শিশু ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি শরিফুল ইসলাম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মুত্তাছিম বিল্লাহ, মেলান্দহ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের মেলান্দহে এক মাদরাসা শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার আসামি একই মাদরাসার শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ। ১১ মে রাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামি শরিফুল ইসলাম উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজইকাটা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। তিনি কোনামালঞ্চ কুরআন ও সুন্নাহ নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও কোনা মালঞ্চ জামে মসজিদের ইমাম।

১০ মে বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষক শরিফুল ইসলাম স্থানীয় কুরআন ও সুন্নাহ নূরানিয়ায়া হাফিজিয়া মাদরাসার ওই মেয়েশিশু শিক্ষার্থীকে তার থাকার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরিবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে ১০ মে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন শিক্ষক শরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন ১০ মে রাতেই ভুক্তভোগী ওই শিশু শিক্ষার্থীর চাচা বাদী হয়ে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেনের দিক নির্দেশানায় উপ-পরিদর্শক শামস মো. সাবিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্য রিয়াজুল ইসলামসহ একটি অভিযানিক দল আসামি শরিফুল ইসলামকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন, সহকারী পুলিশ সুপার মাদারগঞ্জ সার্কেল সজল কুমার সরকার ও এলআইসি শাখা জামালপুর।

উপ-পরিদর্শক শামস মো. সাবিকুল ইসলাম জানান, ১০ মে ঘটনার পরেই অভিযুক্ত ইমাম শরিফুল ইসলাম তার মোবাইল সেট বন্ধ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ওই দিন রাতে তিনি ময়মনসিংহ মারকাজ মসজিদে অবস্থান করেন। তার মোবাইল ও টাকা সবকিছু হারিয়েছে বলে সেখানে স্থানীয় একজনকে জানায় ও তাকে একটি চাকরি খুঁজে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তারপর সেখান থেকে সে চাকরি খুঁজতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় যায়। ১১ মে সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে তিনি একটি দোকানে আশ্রয় নেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, এক পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে শরিফুল ইসলামকে হাফিজিয়া মাদরাসায় ১০ হাজার টাকায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করা হয়। ১১ মে রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।