বশেফমুবিপ্রবিতে সেমিনার : ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে’

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মতো প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বব্যবস্থার উপযোগী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রস্তুত হতে হবে। এক্ষেত্রে নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাইকে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, বিতরণ এবং তা সংরক্ষণ করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তুললেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

৭ মে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: প্রয়োগ, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, চলমান এই বৈশ্বিক রূপান্তর থেকে বাংলাদেশের জনগণ যাতে উপকৃত হয় তা নিশ্চিত করতে নতুন নতুন ইনোভেশন ও গবেষণার মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। শিক্ষাজীবনে অর্জিত জ্ঞান যাতে কর্মক্ষেত্রে উপযোগী হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আউটকাম বেজড কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি তার প্রবন্ধে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বৈশ্বিক এবং বাংলাদেশে কী ধরনের প্রভাব হতে পারে এর ভবিষ্যতমূলক দিক উপস্থাপন করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে রূপান্তরে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।

সেমিনারে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুল আলম খান বলেন, শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উন্নতির জন্য সর্বশেষ প্রবণতা সম্পর্কে জানাতে নিয়মিতভাবে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন একাডেমিক চাহিদা বিবেচনায় একটি অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের জনগণ শিগগিরই সরকারের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণা এবং প্রকল্প থেকে সুফল পাবে বলে তিনি আশাবাদী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মাননান, রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন, সেমিনারের সমন্বয়ক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান এস.এম. ইউসুফ আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস।

এদিকে সেমিনার শেষে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের ও রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতারকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।