দ্বিতীয়বারের মত আইসিসির মাস সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত সাকিব

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’-এ মার্চের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। গেল মাসে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট-বল হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব।

মার্চের সেরা হবার পথে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খানকে পেছনে ফেলেন সাকিব। এর আগে ২০২১ সালের জুলাইয়ের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন সাকিব।

মার্চ মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম আজ ঘোষণা করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। নারীদের বিভাগে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন রুয়ান্ডার হেনরিয়েট ইশিমউই।

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটের সিরিজই খেলেছেন সাকিব।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৪১ রান ও ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ও উইকেট শিকারী ছিলেন তিনি। সিরিজের শেষ ম্যাচে ৭১ বলে ৭৫ রান ও বল হাতে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অলরাউন্ড পারফরমেন্সে ইংল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন সাকিব।

ওয়ানডের ফর্ম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অব্যাহত রাখেন সাকিব। তিন ম্যাচের সিরিজে ৩ উইকেট ও ৩৮ রান করেন তিনি। ইংলিশদের প্রথমবারের মত হোয়াইটওয়াশে অবদান রাখেন সাকিব।

ইংল্যান্ডের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতেই ৯৩ রান ও ১ উইকেট নেন সাকিব। টি-টুয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ৩৮ ও বল হাতে ২২ রানে ৫ উইকেট নেন সাকিব। দুই দেশের বিপক্ষে মার্চে ৬টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মোট ১২ ম্যাচ খেলে ৩৫৩ রান ও ১৫ উইকেট শিকার করেন সাকিব।

মার্চ মাসের সেরা হয়ে সাকিব বলেন, ‘ এ পুরস্কার জিততে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। বিশেষজ্ঞ প্যানেল যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই। এ স্বীকৃতির মূল্য আমার কাছে অনেক। কারণ গত মাসে দুর্দান্ত কিছু ক্রিকেটারের বিশেষ পারফরমেন্স ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি গত মাস থেকে উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স বেছে নিতে হয়, তাহলে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করাটা ছিলো দুর্দান্ত। সব বিভাগে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণে আমার জন্য নিজের ভূমিকা ও দলে অবদান রাখার দিকে মনযোগ দেওয়াটা সহজ হয়ে গিয়েছিলো।’