নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে : মির্জা আজম

জামালপুর সদরের ঝাউলা গোপালপুরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। ছবি : আলী আকবর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শৈশবে শার্ট পরে স্কুলে যান। আর বাড়িতে ফিরেন খালি গায়ে। মা জানতে চাইলে বলতেন আমার শার্টটা এক গরিব বন্ধুকে দিয়ে দিয়েছি। শিশু শেখ মুজিবের এরকম অসংখ্য মানবিক গুণাবলী দেখে সবাই বলতেন তিনি কোন স্বাভাবিক মানুষ নন। তিনি ঐশ্বরিক দান হিসাবে আমাদের কাছে এসেছেন। তাই নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে।

১৯ মার্চ বিকেলে জামালপুর সদরের ঝাউলা গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মির্জা আজম এমপি।

তিনি আরো বলেন, সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান ষড়যন্ত্র করে ১৯৭৫ সালে গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। জিয়া দীর্ঘ ছয় বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিল জিয়া।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে স্লোগান ধরে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই সেই জয়বাংলা স্লোগানকে নিষিদ্ধ করেছিল। তার সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সম্মান ছিল না। বঙ্গবন্ধুর ঘাতক আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশে নিরাপদে পালানোর ব্যবস্থা করেছিল জিয়া।

মির্জা আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা টানা ৪২ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে সারা বিশ্বে রেকর্ড করেছেন। আজকে শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচে দরিদ্রতম দেশ ছিল। আমরা ছিলাম ভিক্ষুকের জাতি। আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪০ ডলার। ধাপে ধাপে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছেন শেখ হাসিনা। আজকে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলার। গত ১৫ বছরে লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছেন। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। গ্রামগুলো শহরে রূপান্তর করে দিচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনেও এই সদর আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যিনিই হোন না কেন তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।

জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগনেত্রী মারুফা আক্তার পপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, আইনজীবী আমান উল্লাহ আকাশ, অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন তরফদার, জিএসএম মিজানুর রহমান, মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পরে সন্ধ্যার পর জনসভামঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী মমতাজ বেগম এমপি।