জামালপুরে শিশুদের দুধ পান করিয়ে স্কুল মিল্ক কর্মসূচির উদ্বোধন

খড়খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে তরল দুধ পান করিয়ে স্কুল মিল্ক কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ছবি : রবিন মাহমুদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম : শিশুদের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের মাধ্যমে একটি শিক্ষিত মেধাবী জাতি গঠন এবং এসডিজির লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে ১৬ মার্চ থেকে জামালপুর জেলার দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি চালু হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে সারাদেশে ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে জামালপুর জেলা সদরের খড়খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থী ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার খড়মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৪৫ শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ দিন ডেইরি খামারের গাভীর পাস্তুরিত ২০০ মিলিগ্রাম করে তরল দুধ পান করানো হবে।

১৬ মার্চ দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার খড়খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল্ক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন একজন শিক্ষার্থীকে তরল দুধ পান করিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবং বক্তব্য রাখেন।

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরানের সভাপতিত্বে স্কুল মিল্ক কর্মসূচির উদ্বোধনী আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুয়েল আশরাফ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার সরকার, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হামিদা খাতুন, খড়খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বেলায়েত হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম বাংলারচিঠিডটকমক বলেন, জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১৬ মার্চ স্থানীয় খড়মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও এই প্রকল্পভুক্ত ২৪৫ শিক্ষার্থীকে তরল দুধ পান করানো হয়েছে। দুধের পুষ্টিগুণ নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি, শিশুদের দুধ পান করানোর অভ্যাস করানো, শিশুদের পুষ্টিচাহিদা মিটিয়ে একটি শিক্ষিত মেধাবী জাতি গঠন ও প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের মাধ্যমে এসডিজির লক্ষ্য পূরণ এবং ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পভুক্ত খামারিদের সাথে সেতুবন্ধন তৈরি করাই এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।