আসুন আমরা প্রত্যেক গৃহকর্মীকে একটি করে শীতবস্ত্র দিয়ে কষ্ট লাঘব করি : জামালপুর জেলা প্রশাসক

জামালপুরে জাতীয় সমাজসেবা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: এই শীতে আসুন আমাদের ঘরে কর্মরত প্রত্যেক গৃহকর্মীকে একটি করে শীতবস্ত্র দিয়ে তাদের কষ্ট লাঘব করি। পাশাপাশি আমাদের এ ছোট্ট দানে সরকারের উপর শীতবস্ত্র কিনার বিশাল চাপ কমে যাবে। এভাবে ভিক্ষুকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমরা যদি ভিক্ষা না দিই তাহলে এ ঘৃণ্য কাজটি বন্ধে ভূমিকা রাখবে। আমরা যদি পারি একটি করে কাজের ব্যবস্থার মাধ্যমে একেকজন ভিক্ষুককে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নেই। সমাজসেবার ভাতা যাতে কোন প্রকার দুর্নীতি না হয় এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক ও দায়িত্ববান হতে হবে।

২ জানুয়ারি জাতীয় সমাজসেবা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়। এবারে দিবসের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়, দেশ গড়বো সমাজসেবায়’।

জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান।

জামালপুরে জাতীয় সমাজসেবা দিবসের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাজু আহমদ, জেলা তথ্য কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকাম, সংস্কৃতিকর্মী তারিকুল ফেরদৌস প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জামালপুর শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা ফারুক মিয়া।

জাতীয় সমাজসেবা দিবসের অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দুইশতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

সভার শুরুতেই জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র প্রদর্শন এবং সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের আওতায় কার্যক্রমের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। সভা শেষে সাতজন উপকারভোগীর মাঝে বিভিন্ন উৎপাদন কাজে পুনঃবিনিয়োগ করার জন্য ২ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।