বকশীগঞ্জে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে

বকশীগঞ্জে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন মানুষ।ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় পৌষের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত দুইদিন থেকে বকশীগঞ্জের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি জনপদ ও নদী বেষ্টনী এলাকাগুলোতে কনকনে শীত বিরাজ করছে।

গারো পাহাড়ের হিমেল হাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এই এলাকার মানুষ। রাতের বেলায় প্রচণ্ড কুয়াশা ও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে। সারাদিন সূর্যের দেখা মিলছে না এই উপজেলায়। যে যার যার মত গরম কাপড়-চোপড় ব্যবহার ও খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তীব্র শীতের কারণে শ্রমজীবী মানুষ সঠিক সময়ে কাজে যেতে পারছেন না। সন্ধ্যা হলেই পৌর শহরে লোকসমাগম কমে যাচ্ছে। বেশি প্রয়োজন না হলে শীতের মধ্যে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

এদিকে কনকনে শীত ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মজনুর রহমান জানান, শীত নিবারণের জন্য একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৮০০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানরা এসব কম্বল বিতরণ করছেন। এছাড়াও আরও কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, কয়েকদিন থেকে দিনে ও রাতে ঘন কুয়াশা ও শীত বেড়ে গেছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে যার প্রয়োজন তাকেই কম্বল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।