মিমি’র বৈদ্যুতিক পণ্যের গুদামে অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মিমি ইলেকট্রিক দোকানে পুড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক পণ্য। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুর শহরের গেটপাড় এলাকায় আমাদের প্রেসের পেছনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মিমি ইলেকট্রিক নামের একটি বৈদ্যুতিক পণ্যের দোকানের গুদাম ও একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় পুড়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন। ১৬ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৬ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আকস্মিক মিমি ইলেকট্রিক দোকানের কর্মচারীরা তাদের গুদামে গিয়ে গুদাম থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখেন। তারা বুঝতে পারেন ভেতরে আগুন ধরেছে। সাথে সাথে তারা জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেন। সময় মতো খবর পেলেও জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আগুন নেভানোর সকল গাড়ি ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহের যান্ত্রিক মহড়ায় স্টেশন থেকে অনেক দূরে থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে তাদের কিছুটা বিলম্ব হয়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপনকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে প্রস্তুতি নিতে নিতেই বৈদ্যুতিক পণ্যের গুদাম ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রওশন এন্টারপ্রাইজের অফিস ও বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান বৈদ্যুতিক পণ্য পুড়ে ছাই হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয় সফির মিয়ার পুকুর পাড়ে পাম্প মেশিন বসিয়ে পানি টেনে নিয়ে আগুন নেভান। এতে আশপাশের বেশ কয়েকটি দোকান ও প্রতিষ্ঠান আগুনের কবল থেকে রক্ষা পায়। অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

মিমি ইলেকট্রিক দোকানের মালিক আবু তাহের জানান, কর্মচারীরা গুদাম থেকে মালামাল আনতে গিয়ে তারা আগুন দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করেন। গুদামের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রওশন এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম রিপন জানান, সকালে প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় বন্ধ করে চলে যান। পরে শুনতে পান তার কার্যালয়ে আগুন লেগেছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিক তা জানাতে পারেননি তিনি।

জামালপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম আকন্দ বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, সময় মতো খবর পেলেও আমাদের যান্ত্রিক মহড়ার কারণে গাড়ি ও কর্মীরা স্টেশনের বাইরে থাকায় দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলে না পৌঁছতে পারলেও আমরা সেখানে গিয়েই আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেই। ফলে আশপাশের আরো কিছু স্থাপনা আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি। তদন্ত করে পরবর্তীতে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।