বকশীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বসত ভিটা হারিয়ে দিশেহারা ২০ পরিবার!
জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেই সঙ্গে বকশীগঞ্জ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যার কারণে বানভাসি পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, দশানী ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া, মেরুরচর, বগারচর ও নিলাখিয়া ইউনিয়নের ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে এই এলাকার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ২১ জুন দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ ছিল চরম দুর্ভোগে। মানুষ তাদের পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ নারী ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন।
বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বাংগাল পাড়া, কতুবেরচর, চর আইরমারী, মেরুরচর ইউনিয়নের কলকিহারা গ্রাম, টুপকার চর ও নিলাখিয়া ইউনিয়নের সাজিমারা ও কুশল নগর গ্রামে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ২০ জুন এসব নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ অন্যান্যরা।
সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, তার ইউনিয়নের বাংগাল পাড়া ও কতুবেরচর গ্রামে গত সাতদিনে জিঞ্জিরাম নদীর ভাঙনে ২০টি পরিবারের বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার এসব পরিবার অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বসত ভিটা হারিয়ে নিম্নআয়ের এসব পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এদিকে পানিবন্দি মানুষ কর্মহীন হয়ে পারায় তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলছে। নিম্নআয়ের এসব পরিবারের রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কষ্টে দিনানিপাত করছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে চলতি বন্যায় অনেকটায় বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষ।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নদী ভাঙনের শিকার পরিবারকে ১০ কেজি চাল প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে বন্যা দুর্গত এলাকায় আরও ত্রাণ বিতরণ করা হবে।