সরিষাবাড়ীতে চেয়ারম্যানের সমর্থকদের হামলায় স্কুলের সভাপতিসহ আহত ১০

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

১৫ মার্চ সকালে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের পঞ্চাশী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক ও পঞ্চাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাপ মিয়া, যুবলীগ নেতা খাদেমুল ইসলাম, সাইদ মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা শাকিল মিয়া, মিজানুর রহমান ও জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১০ জন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আওনা ইউনিয়নের পঞ্চাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের কমিটি গঠনের দিন ধার্য করে চলতি মাসের আগামী ২৩ মার্চ। বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫ জন নির্বাচিত হয়। ধার্য করা দিনের আগেই ১৫ মার্চ সভাপতির পদ নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে সাবেক সভাপতি গোলাপ হোসেন, আসাদুজ্জামান হাবলু ও জুব্বার শিকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ সময় জুব্বার শিকদার সমর্থক আওনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের লোকজন সাবেক সভাপতি গোলাপ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের লোকজন জড়ো হয়ে গোলাপ হোসেনের সমর্থকদের মারধর করতে থাকে। এসময় বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাপ হোসেন এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে তারা। এ সময় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা খাদেমুল ইসলামকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গোলাপ হোসেন জানান, নির্বাচিত সকল অভিভাবক আমাকে সমর্থন দিয়ে সভাপতির পদ প্রস্তাব করে। এতে জুব্বার শিকদার সমর্থন নিয়ে আওনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন আমার লোকজনের ওপর হামলা করে মারধর করতে থাকে। এসময় আমি ছাড়াতে গেলা তারা আমাকেও মারধর করে।

আওনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বলেন, কমিটি গঠনের কথা জেনে স্কুলে যাই। সেখানে গোলাপ হোসেন ও জুব্বার শিকদারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে কমিটি গঠনের কথা বলে চলে আসি। এর পরে সেখানে মারামারি হয়েছে খবর পাই। আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সবাই আমার লোক। আমি একক কারও পক্ষের লোক হয়ে স্কুলে যায়নি বলে তিনি জানান।

পঞ্চাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফেরদৌসী খাতুন বলেন, ১৫ মার্চ সকালে অফিস কক্ষে স্কুলের কমিটি গঠনের কার্যক্রম চলছিল। এ সময় মাঠের মধ্যে দুই পক্ষের লোকজন মারামারি শুরু করলে পুলিশ খবর দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ফয়জুর রহমান বলেন, পঞ্চাশী স্কুলের মধ্যে মারামারির সংবাদে যাই। পুলিশের উপস্থিতির সংবাদ পেয়ে দুই পক্ষের লোকজন বিদ্যালয় থেকে চলে যায়। মারামারির বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।