জামালপুরে গবাদি প্রাণী প্রতিপালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ

জামালপুরে গবাদি প্রাণী প্রতিপালন বিষয়ক প্রশিক্ষণে সহায়কের দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. রিফাত আরা ফেরদৌস।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: এলাকার লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর জীবিকায়ন নিশ্চিত করতে জামালপুরে উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাস্তবায়নাধীন এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর আওতায় আয়মুখী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি জামালপুরে শুরু হয়েছে উপকারভোগীদের নিয়ে দুইদিনব্যাপী গবাদি প্রাণী প্রতিপালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণে প্রধান সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জামালপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. রিফাত আরা ফেরদৌস।

জামালপুর এপির কর্মএলাকায় একই সাথে জামালপুর পৌরসভার পাথালিয়ায়, সদর উপজেলা শরিফপুর ও লক্ষ্মীরচরে কোর্স শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের এপি ম্যানেজার মিনারা পারভীন, সিডিও মারিও মুক্তি মন্ডল প্রমুখ।

জামালপুর পৌরসভা, লক্ষ্মীরচর ও শরিফপুর ইউনিয়নের ১৬০ উপকারভোগীকে দুদিনের প্রশিক্ষণ শেষে ১৪৬টি পরিবারে ২৯২টি ছাগল এবং ১৪টি পরিবারের মাঝে ১৪০টি হাঁস বিতরণ করা হবে।

জামালপুরে গবাদি প্রাণী প্রতিপালন বিষয়ক প্রশিক্ষণে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের এপি ম্যানেজার মিনারা পারভীন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

শিশুদের মৌলিক চাহিদা পুরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে এপি বাস্তবায়ন করছে।

সূত্র জানায়, উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবিকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং।