পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে শি জিনপিং এবং ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। গত দুই বছরের মধ্যে এটি তার প্রথম কোন বিশ্ব নেতার সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক। চীনের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে পুতিন বেইজিং সফরে আসছেন। পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে এই দুই জুটি আরো কাছাকাছি আসছেন।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে শি চীন ছেড়ে যাননি, যখন দেশটি প্রাথমিক কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে লড়াই করছিল এবং উহানের প্রধান নগরী লকডাউনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে, সেখানেই প্রথম ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়।

বেইজিংয়ে আজ শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হয়েছে। এই ইভেন্ট উদ্বোধনের সাথে সাথে তিনি এখন ২০টির বেশী দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আশা করছেন একটি নমনীয় শক্তি হিসাবে জয়ী হবেন এবং কূটনৈতিক বয়কট ও কভিড-১৯ ভীতির অবস্থান থেকে দৃষ্টি ফেরাতে পারবেন।
নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ইস্যুতে অভিন্ন মতামত তুলে ধরে যৌথ বিবৃতি প্রকাশের আগে শি এবং পুতিন রাজধানীতে বৈঠক করবেন বলে ২ ফেব্রুয়ারি ক্রেমলিনের এক শীর্ষ উপদেষ্টা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন।

দুই নেতা ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

পাশ্চাত্যের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া এবং সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হয়েছে এবং পুতিনই প্রথম বিদেশী নেতা যিনি ৪ ফেব্রুয়ারি অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।

গত ডিসেম্বরে শি’র সঙ্গে এক ফোনালাপে বেইজিংয়ের সঙ্গে রাশিয়ার ‘মডেল’ সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি চীনের প্রেসিডেন্টকে ‘প্রিয় বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেন।

চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ‘যুক্তিসঙ্গত নিরাপত্তা উদ্বেগের’ প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহবান জানিয়েছেন।

মস্কো ইউক্রেনের সঙ্গে তার সীমান্তে ১ লাখের বেশী সৈন্য মোতায়েন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোগুলো ইউক্রেন আক্রমনের ব্যাপারে রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন হলে রাশিয়াকে ‘ভয়ংকর পরিণতির’ মুখোমুখি হতে হবে। মস্কো এখন নিজের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে।

১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠার পর চীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছিল। পরে দ’ুটি সমাজতান্ত্রিক দেশের মধ্যে আদর্শগত ব্যবধান তৈরি হয়।

অলিম্পিক অনুষ্ঠানকালে পুতিন ছাড়াও আরো অনেক নেতার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠক হবে। এদের মধ্যে রয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, সৌদি আরবের মোহাম্মদ বিন সালমান, কাজাখস্তানের কাসেম-জোমার্ট তোকায়েভ এবং পোল্যান্ডের আন্দ্রেজ দুদা। বিশ্বের মোট ২১ জন নেতা অলিম্পিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে উপস্থিত হবেন।