ঢাকা ০১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামপুরে ৭১ এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ মাদারগঞ্জে আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা হল ৫ মেলান্দহে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার বকশীগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে মুরগি বিতরণ সরিষাবাড়ীতে অনুমোদনহীন ভবনের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা জামালপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতার পর অটোরিকশা ধর্মঘট প্রত্যাহার মাদারগঞ্জে ১৮ ঘণ্টা পর আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৪, নিখোঁজ ১ জামালপুরে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মাদারগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত বকশীগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচি শুরু

আলো স্বল্পতার দিনে ঢাকা টেস্টে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬১ রান

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ আলো স্বল্পতার কারনে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন খেলা হওয়া ৫৭ ওভারে ২ উইকেটে ১৬১ রান তুলেছে পাকিস্তান।ম্যাচের প্রথম দিন ৩৩ ওভার বাকী ছিলো।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ।

প্রথম টেস্ট খেলা ইয়াসির আলি, আবু জায়েদ ও সাইফ হাসানের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ হয় সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদের। দেশের ৯৯তম টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হয় ডান-হাতি ব্যাটার ২১ বছর বয়সী জয়ের। তবে প্রথম টেস্টের একাদশ নিয়েই খেলতে নামে পাকিস্তান।

প্রথমে ব্যাট করার সুযোগে সাবধানী শুরু পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিকের। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই শতরানের জুটি গড়েছিলো আবিদ ও শফিক। সঙ্গত কারণেই এই দুই ওপেনারকে নিয়ে সতর্ক ছিল কাংলাদেশও।

তবে দিনের ১৯তম ওভারে টাইগারদের মুখে হাসি ফোটান স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৫০ বলে ২ বাউন্ডিারি ও ১ ওভার বাউন্ডারিওত ২৫ রান করা শফিককে বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল। সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে ১৪৬ ও ১৫১ রান করেছিলেন আবিদ ও শফিক।

শফিককে শিকার করার পর ২৫তম ওভারে পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন তাইজুল। চট্টগ্রামে দুই ইনিংসে ১৩৩ ও ৯১ রান করা আবিদকেও বোল্ড করেন তিনি। আজ ৬টি চারে ৮১ বলে ৩৯ রান করে ফিরেন আবিদ।

দিনের প্রথম সেশনেই দুই ওপেনারকে হারানোয় ৩১ ওভারে ২ উইকেটে ৭৮ রান তুলে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় পাকিস্তান।

তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন আজহার আলী ও অধিনায়ক বাবর আজম। দ্বিতীয় সেশনে দাপট দেখিয়েছেন তারা। বাংলাদেশের বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন আজহার ও বাবর।

৪৯তম ওভারে ৩৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৯তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। চলতি বাংলাদেশ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ব্যর্থই ছিলেন বাবর।

বাবর ও আজহারের অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটিতে ৫৭ ওভারে ২ উইকেটে ১৬১ রান তুলে চা-বিরতিতে যায় পাকিস্তান। সেসময় আজহার ৩৬ ও বাবর ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

চা-বিরতির পর আর মাঠে নামতে পারেনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। আলো স্বল্পতার কারনে দিনের খেলার ৩৩ ওভার বাকী থাকতে ইতি টানতে বাধ্য হন আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিরা।

আজহার ১১২ বল খেলে ৪টি চার মারেন, বাবর ৯৯ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।

প্রথম দিন বাংলাদেশের সফল বোলার ছিলেন তাইজুল। ১৭ ওভার বল করে ৪৯ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। ১৫ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে উইকেটশুন্য ছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের পর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামা সাকিব আল হাসান। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে বিশ^কাপের সুপার টুয়েলভের শেষ তিন ম্যাচ, পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি সাকিব।

টস : পাকিস্তান

পাকিস্তান প্রথম ইনিংস :
আবিদ বোল্ড তাইজুল ৩৯
শফিক বোল্ড তাইজুল ২৫
আজহার অপরাজিত ৩৬
বাবর অপরাজিত ৬০
অতিরিক্ত (লে বা-১) ১
মোট (২ উইকেট, ৫৭ ওভার) ১৬১
উইকেট পতন : ১/৫৯ (শফিক), ২/৭০ (আবিদ)।
বাংলাদেশ বোলিং :
এবাদত : ৯-১-২৮-০,
খালেদ : ৪-১-১৯-০,
সাকিব : ১৫-৬-৩৩-০,
তাইজুল : ১৭-৫-৪৯-২,
মিরাজ : ১২-২-৩১-০।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামপুরে ৭১ এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ

আলো স্বল্পতার দিনে ঢাকা টেস্টে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬১ রান

আপডেট সময় ০৫:৩০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ আলো স্বল্পতার কারনে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন খেলা হওয়া ৫৭ ওভারে ২ উইকেটে ১৬১ রান তুলেছে পাকিস্তান।ম্যাচের প্রথম দিন ৩৩ ওভার বাকী ছিলো।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ।

প্রথম টেস্ট খেলা ইয়াসির আলি, আবু জায়েদ ও সাইফ হাসানের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ হয় সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদের। দেশের ৯৯তম টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হয় ডান-হাতি ব্যাটার ২১ বছর বয়সী জয়ের। তবে প্রথম টেস্টের একাদশ নিয়েই খেলতে নামে পাকিস্তান।

প্রথমে ব্যাট করার সুযোগে সাবধানী শুরু পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিকের। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই শতরানের জুটি গড়েছিলো আবিদ ও শফিক। সঙ্গত কারণেই এই দুই ওপেনারকে নিয়ে সতর্ক ছিল কাংলাদেশও।

তবে দিনের ১৯তম ওভারে টাইগারদের মুখে হাসি ফোটান স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৫০ বলে ২ বাউন্ডিারি ও ১ ওভার বাউন্ডারিওত ২৫ রান করা শফিককে বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল। সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে ১৪৬ ও ১৫১ রান করেছিলেন আবিদ ও শফিক।

শফিককে শিকার করার পর ২৫তম ওভারে পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন তাইজুল। চট্টগ্রামে দুই ইনিংসে ১৩৩ ও ৯১ রান করা আবিদকেও বোল্ড করেন তিনি। আজ ৬টি চারে ৮১ বলে ৩৯ রান করে ফিরেন আবিদ।

দিনের প্রথম সেশনেই দুই ওপেনারকে হারানোয় ৩১ ওভারে ২ উইকেটে ৭৮ রান তুলে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় পাকিস্তান।

তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন আজহার আলী ও অধিনায়ক বাবর আজম। দ্বিতীয় সেশনে দাপট দেখিয়েছেন তারা। বাংলাদেশের বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন আজহার ও বাবর।

৪৯তম ওভারে ৩৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৯তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। চলতি বাংলাদেশ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ব্যর্থই ছিলেন বাবর।

বাবর ও আজহারের অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটিতে ৫৭ ওভারে ২ উইকেটে ১৬১ রান তুলে চা-বিরতিতে যায় পাকিস্তান। সেসময় আজহার ৩৬ ও বাবর ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

চা-বিরতির পর আর মাঠে নামতে পারেনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। আলো স্বল্পতার কারনে দিনের খেলার ৩৩ ওভার বাকী থাকতে ইতি টানতে বাধ্য হন আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিরা।

আজহার ১১২ বল খেলে ৪টি চার মারেন, বাবর ৯৯ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।

প্রথম দিন বাংলাদেশের সফল বোলার ছিলেন তাইজুল। ১৭ ওভার বল করে ৪৯ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। ১৫ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে উইকেটশুন্য ছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের পর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামা সাকিব আল হাসান। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে বিশ^কাপের সুপার টুয়েলভের শেষ তিন ম্যাচ, পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি সাকিব।

টস : পাকিস্তান

পাকিস্তান প্রথম ইনিংস :
আবিদ বোল্ড তাইজুল ৩৯
শফিক বোল্ড তাইজুল ২৫
আজহার অপরাজিত ৩৬
বাবর অপরাজিত ৬০
অতিরিক্ত (লে বা-১) ১
মোট (২ উইকেট, ৫৭ ওভার) ১৬১
উইকেট পতন : ১/৫৯ (শফিক), ২/৭০ (আবিদ)।
বাংলাদেশ বোলিং :
এবাদত : ৯-১-২৮-০,
খালেদ : ৪-১-১৯-০,
সাকিব : ১৫-৬-৩৩-০,
তাইজুল : ১৭-৫-৪৯-২,
মিরাজ : ১২-২-৩১-০।