ভাষার একটা মায়াজাল তৈরি করে গেছেন হুমায়ূন আহমেদ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৩ নভেম্বর জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জন্মদিনের কেককাটা, বিতর্ক ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বইমেলা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে ১০ম হুমায়ূন উৎসব উদযাপন পরিষদ, জামালপুর।
১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ১০ম হুমায়ূন উৎসব উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা হিশাম আল মাহান্নাভের সভাপতিত্বে লেখক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী।
লেখক হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য প্রতিভার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধান অতিথি ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী বলেন, হুমায়ূন আহমেদের লেখায় দারুণ চমক ছিল। তার প্রতিটি গল্প বা কাহিনি একটা চমকের ভেতর দিয়ে শুরু হয়। যেন আকস্মিক, অনভ্যস্ত শুরু। তার ভাষার অসাধারণ চমকই পাঠককে গল্পের ভেতরে টেনে নিয়ে যায় একদম শেষ পর্যন্ত। এই ভাষাগুলো তার নিজস্ব। একেবারেই সহজ সরলভাবে তুলে ধরা। ভাষার একটা মায়াজাল তৈরি করে গেছেন তিনি। এই মায়াজালই পাঠককে চুম্বকের মতো ধরে রাখে। মানুষকে আনন্দ দিয়ে, মজা করে কথা বলা তার এক অসাধারণ গুণ ছিল। শুধু গল্প, উপন্যাসেই নয়, তার অনেক টিভি নাটক, চলচ্চিত্রেও মানুষের ব্যাপক আগ্রহ থাকতো।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হুমায়ূন উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুমাইয়া আজাদ ঐশী এবং হুমায়ূন আহমেদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে মুখ্য আলোচনা করেন কবি ও লেখক জামালপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল হাই আলহাদী ও সহযোগী অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন মুরাদ, ঝাউলা গোপালপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কবি তারিকুল ফেরদৌস, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী রিশাদ রেজওয়ান প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ ও ‘প্রযুক্তির ব্যবহার ছাপা বইয়ের হুমকি স্বরূপ’ বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মদিনের কেক কাটেন।
এর আগে বিকেলে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপিকা খালেদা রায়হান ও সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপমা ফারিসা।