বাংলার জনগণই শেখ হাসিনার মুকুট : বেগম মতিয়া চৌধুরী

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। ছবি : আলী আকবর

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর থেকে
বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেছেন, বন্দুকের নল নয়, জনগণই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্তি। বাংলার জনগণই শেখ হাসিনার মুকুট। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে জামালপুরের ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন ক্লান্তিহীন এক বটবৃক্ষ। সুখ-দুখের সাথী হয়ে এই দেশের দু:খীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলেছেন। দেশে এখন আর খালি পায়ের লোক দেখা যায় না। এক সময় অনেক মানুষ খাবার পেত না। এখন এ দেশের মানুষকে পান্তা ভাত দিলে বলে আমার পেটে গ্যাস্ট্রিক। পান্তাভাতও খেতে চায় না। ভিক্ষা নেওয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। মানুষকে ডেকে ডেকে চাল দিতে হয়। এই উন্নয়ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে। বাংলার মানুষকে ভালোবেসে বাংলার মাটিকে তিনি আলোকিত করে চলেছেন।

তিনি আরও বলেন, আল্লার মাইর দুনিয়ার বাইর, খালেদা সরকারের সময় মহান জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নাকি এই দেশে বিচার হবে না। শেখ হাসিনা জনগণের ভোটের রায় নিয়ে ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পদক্ষেপ নেন। তিনি জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি বিল বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে জনগণের রায়কে কার্যকর করেছেন। আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ এবং এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী মো. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং ও মারুফা আক্তার পপি, প্রকৌশলী মো. মাজাফফর হোসেন এমপি, বেগম হোসনে আরা এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জি এস এম মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-আমিন চাঁন ও জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ।

পরে একই মঞ্চে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটিতে পুনরায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানকে সভাপতি ও আইনজীবী আব্দুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ঘোষণা করে দ্রুত সময়ে মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।