নকলায় বাড়িঘর ভাংচুর ও গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক অসহায় পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর করে গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ আগস্ট ভোরে উপজেলার উরফা ইউনিয়নের হাসনখিলা দক্ষিণপাড়া এলাকায়। জমিটি নিয়ে আদালতে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকদ্দমা চলছে বলেও স্থানীয়রা জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জবান আলী নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি কিনে বসতবাড়ি করে বসবাস করে আসছিল হাসনখিলা দক্ষিণপাড়ার বিল্লাল মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি। বিল্লাল মিয়া ২৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসারৎ জন্য ঢাকায় নিয়ে যায় স্বজনরা। ওই সুযোগে প্রভাবশালী প্রতিবেশী নায়েব আলী, আফাজ উদ্দিন, আবুল কাসেম ও আকাব্বর পক্ষরা বাড়িঘর ভাংচুর করে সমস্ত মালামাল নিয়ে যায় এবং বসতভিটায় থাকা গাছগুলোও কেটে নিয়ে যায়। এসব কাজে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন বিল্লাল মিয়ার মেয়ে শাহনাহাজ বেগম, মেয়ের জামাতা নূর মোহাম্মদ, আশিকুর রহমান ও আনোয়ারা বেগম নামের এক বৃদ্ধা।

বিল্লাল মিয়া বলেন, আমি জবান আলীর কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি কিনে বাসতবাড়ি করে থাকতেছি। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার মেয়ে শাহনাজ বেগম ও জামাতা নূর মোহাম্মদকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার জন্য ঢাকা চলে যাই। এই সুযোগে প্রতিবেশী নায়েব আলী, আফাজ উদ্দিন, আবুল কাসেম ও আকাব্বর পক্ষরা বাড়িঘর ভাংচুর করে সমস্ত মালামাল নিয়ে যায়। পরে আমার ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং ভিটায় থাকা গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়।

নায়েব আলী গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও বাড়িঘর ভাংচুর, মালামাল লুট এবং আগুন দিয়ে পুড়ানোর বিষয় অস্বীকার করে বলেন, বিল্লাল মিয়া যে জমির দাবি করছে সেটা মূলত আমাদের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া। তারাই আমাদের জায়গাতে ঘর তুলেছে।

উরফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক হীরা বলেন, জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালতই সিদ্ধান্ত দিবেন কে ওই জমির প্রকৃত মালিক। তবে বাড়িঘর ভাংচুর করে মালামালসহ গাছ কেটে নিয়ে নায়েব আলীরা ঠিক করেনি।