যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যারা চায়নি, তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছেন।

২৪ আগস্ট দুপুরে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা উচ্চ বিদ্যালয় ও বি এম কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল, এই বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, তারাই কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষের দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা হারিয়ে যাবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ থেকে ষড়যন্ত্রকারী, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে।

তিনি বলেন, সারাবিশ্বে যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পৃথিবীর মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। তখন শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, প্রেরণা আর সাহস দিয়েছেন আগলে রেখেছেন। সকল ক্ষেত্রে ঘোষণা করেছেন বিশেষ প্রণোদনা। সারাদেশে ত্রাণ বিতরণ করে দুঃখী মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন খাদ্য।

বিশ্বের ১৬৭টি দেশ করোনোভাইরাসে আক্রান্ত। পৃথিবীর মানুষ প্রচণ্ডভাবে আতঙ্কিত। আমাদের দেশে সরকার সঠিক ব্যবস্থা সময়মতো গ্রহণ করেছে বিধায় আমাদের দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও গণটিকার মাধ্যমে আমরা আজকে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

অধ্যক্ষ এ কে এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাসের বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মোরশেদ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এম আবু তাহের, উপজেলার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ, অধ্যক্ষ আবু নাছের চৌধুরী চার্লেস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, শহর যুবলীগ আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান লাজু, বেলগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানশাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আজাদ ইমরান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এতে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শিক্ষক ও সুধীজনরা অংশ নেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।