টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে একনেকে ২ হাজার ২০৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ গ্রাম পর্যায়ে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ৫জি সেবা প্রদানে বিদ্যমান নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন করেছে।

১০ আগস্ট রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভা কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যোগদান করেন।

বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেক সভায় ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা সরকার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ব্যয় করবে, ১৩৭ কোটি ৯ লাখ টাকা বাস্তবায়নকারি সংস্থার নিজস্ব তহবলি এবং বাকী ১ হাজার ১৮৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, এপ্রিল ২০২১ হতে নভেম্বর ২০২৩ মেয়াদে গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো-গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণকে ৪জি প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবা সুলভ মূল্যে প্রদানের লক্ষ্যে নেটওয়ার্কের গুণগতমান উন্নয়ন এবং সরকারের ঘোষিত লক্ষ্য অনুসারে ২০২১-২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৫জি প্রযুক্তি নির্ভর মোবাইল সেবা প্রদানের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিদ্যমান কোর ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয় আধুনিকায়ন করা।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমসমূহ হলো-নতুন ৩০০০টি বিটিএস সাইট তৈরি করা, গ্রাহক সেবা প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিদ্যমান ২০০০টি ৩জি বা ৪জি মোবাইল বিটিএস সাইটের যন্ত্রপাতিসমূহের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, বিদ্যমান ২০০টি মোবাইল বিটিএস প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সাইটসমূহের আধুনিকায়ন, বিদ্যমান ১০০০টি ২জি বা ৩জি মোবাইল বিটিএস সাইটে ৪জি বিটিএস সংযোজন, ফিক্সড ওয়ারলেস এক্সসেজ (এফডব্লিউএ) প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে সরকারি দপ্তর, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৫০০০টি এফডব্লিউএ ডিভাইস স্থাপন, আইপি লংহল (জিবিপিএস ক্ষমতাসম্পন্ন) মাইক্রোওয়েভ লিংক স্থাপন উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, শর্টহল মাইক্রোওয়েভ লিংক স্থাপন, কোর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, কোর আইপি ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং চার্জিং, বিলিং, ভ্যালু এডেড সার্ভিস ও অন্যান্য সাবসিস্টেম সম্প্রসারণ।

প্রকল্পের বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ৫জি নেটওয়ার্কের কাভারেজ এর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রস্তুতির লক্ষ্যে প্রকল্পটির আওতায় টেলিটকে ২ হাজার ২০৪ কোটি টাকার বড় অংকের বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. এম শামসুল আলম বলেন, টেলিটক প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া, টেলিটক ছাড়া পার্বত্য ও চর এলাকায় অন্য কোন ফোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক নেই, সুতরাং সেসব এলাকাতেও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সহজে পোঁছে যাবে।সূত্র:বাসস।