বকশীগঞ্জে লকডাউন কার্যকরে কঠোর প্রশাসন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ড

বকশীগঞ্জে লকডাউনের তৃতীয় দিনে প্রশাসনের কঠোরতায় শহরে জনসমাগম অনেকাংশে কমে যায়, রাস্তাগুলো ফাঁকা ছিল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জে করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের তৃতীয় দিনে কঠোর হয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা।

৩ জুলাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস বিভিন্ন হাট বাজারে মনিটরিং করেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস লকডাউনে অকারণে ঘুরাঘুরি, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে নয়টি মামলায় ২ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন।

এদিকে কারণে অকারণে শহরে জনসমাগম ঠেকাতে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। বকশীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড মোড়, মালিবাগ মোড়, পানহাটি মোড়, উপজেলা মোড়ে, পুরাতন গরুহাটি মোড়ে অবস্থান নিয়ে কোন যানবাহন পৌর শহরে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। বৈরী আবহাওয়া উপক্ষো করে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের কঠোরতায় তৃতীয় দিনে পৌর শহরের বেশির ভাগ দোকান পাট বন্ধ ছিল। তবে কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা চোর-পুলিশ খেলায় লিপ্ত ছিল। কিছু ব্যবসায়ী পুলিশ বা ইউএনও’র গাড়ি দেখলেই দোকানের সাটার বন্ধ রাখেন আবার তারা চলে গেলেই দোকানের সাটার খুলে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব ব্যবসায়ীদের কড়া বার্তা দেওয়া হলেও তারা প্রশাসনের কথা আমলে নিচ্ছেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা জানান, সরকারের দেওয়া লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন মাঠে কাজ করে যাচ্ছে, কেউ বিনা কারণে ঘর হতে বের হলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।