বকশীগঞ্জে বাল্যবিবাহের তিনমাস পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছেলের বাবা ও মেয়ের বাবাকে অর্থদণ্ড

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বাল্যবিবাহ দেওয়ায় মেয়ের বাবা ও ছেলের বাবাকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২ জানুয়ারি বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ দণ্ডাদেশ দেন।

জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের পলাশতলা গ্রামের আকরাম আলীর ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের (১২) সঙ্গে শ্রীবরদী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রুকন মিয়ার তিনমাস আগে বিবাহ হয়। বিয়ের পর তারা ঘর সংসার করে আসছিলেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে ২ জানুয়ারি সকালে মেয়ের বাবা আকরাম আলীর বাড়িতে হানা দেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা।

সেখানে বেড়াতে আসা ছেলের বাবাকেও পাওয়া যায়। পরে মেয়ের বাবা আকরাম আলী ও ছেলের বাবা বাবুল মিয়াকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হয়। বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করার দায়ে মেয়ের বাবাকে নগদ ৫ হাজার টাকা ও ছেলের বাবাকে নগদ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

পরে মেয়ের বাবা তার মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ছেলের বাড়িতে পাঠাবেন না মর্মে ইউএনও’র কাছে অঙ্গীকার করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম মুন মুন জাহান লিজা জানান, বাল্যবিবাহ নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে বিয়ের দুই বছর পর্যন্ত আদালত ইচ্ছা করলে ব্যবস্থা নিতে পারে। এই রায়ের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ বিষয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। যেহেতু ময়মনসিংহ বিভাগকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তাই তিনি বাল্যবিবা রোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ।