কুষ্টিয়ায় বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আনিসসহ সহযোগীরা রিমান্ডে

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই কুষ্টিয়ায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আনিস, সবুজ ও হৃদয়সহ তাদের প্রত্যেককে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

২১ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা খাতুন এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান।

১৯ ডিসেম্বর বিভিন্ন জায়গাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের পরিকল্পনা করে যুবলীগ নেতা আনিস। দুই সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানা গেছে।

ওইদিন সংবাদ সম্মলনে তিনি আরো জানান, ঘটনার পরই জড়িতদের শনাক্তে অভিযান শুরু হয়। আটক করা হয় মূল পরিল্পনাকারী করা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনিসকে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, গ্রেপ্তার করা হয় সহযোগী সবুজ ও হৃদয়কে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ভাস্কর্য ভাঙার মূল রহস্য। কলেজ কমিটি নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের কারণেই ভাস্কর্য ভাঙা হতে পারে।

বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জায়গাতে মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করে বিভিন্ন সংগঠন। জড়িতদের বিচার দাবিতে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

এদিকে আনিসকে দল থেকে বহিষ্কারের তথ্য জানিয়ে ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় দল নেবে না বলে জানান কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন।

তিনি বলেন, আমরা পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা আনিসকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছি।

১৭ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়ার কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার, কুমারখালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন কলেজ অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ।