ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘দরজা খুলেন আমি ইউএনও বলছি’

তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের কম্বল বিতরণ করেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা ও এসিল্যান্ড স্নিগ্ধা দাস। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের কম্বল বিতরণ করেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা ও এসিল্যান্ড স্নিগ্ধা দাস। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রতিদিনের মত নিজেদের ভাল মন্দ নিয়ে গল্পগুজব করছিলেন তারা। সুখ দুঃখ নিয়ে তারা প্রতিদিনই এভাবে একে অপরের গল্পে মজে থাকেন। হঠাৎ গেইটে ঠক ঠক শব্দ। তামান্না হিজরা প্রশ্ন ছুড়ে বললেন কেডা ওহানে (কে ওখানে), গেইটের বাইরে থেকে……দরজা খুলেন আমি ইউএনও বলছি। সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলেন। গেইট খুলতেই দেখলেন কম্বল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন ৪-৫ জন। পরিচয় দিলেন সবাই। তাদের গল্পে অংশ নিলেন ইউএনও নিজেও। এ সময় ইউএনও জানালেন আপনাদেরকে কম্বল দিতে এসেছি।

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকাসহ উত্তরাঞ্চলে গত ১০ দিন ধরে প্রচন্ড কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। শীতের দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা না থাকায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন।

তাই উপজেলা প্রশাসন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলোকে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণের উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা।

১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কম্বল বিতরণের জন্য পাখিমারা এলাকায় হিজরাদের সমিতিতে যান ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা। পরে ২০ জন হিজরার মাঝে বিতরণ করা হয় কম্বল।

এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাসান মাহবুব খান, হিজরাদের নেতা তামান্না হিজরাসহ হিজরা সম্প্রদায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘দরজা খুলেন আমি ইউএনও বলছি’

আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের কম্বল বিতরণ করেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা ও এসিল্যান্ড স্নিগ্ধা দাস। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রতিদিনের মত নিজেদের ভাল মন্দ নিয়ে গল্পগুজব করছিলেন তারা। সুখ দুঃখ নিয়ে তারা প্রতিদিনই এভাবে একে অপরের গল্পে মজে থাকেন। হঠাৎ গেইটে ঠক ঠক শব্দ। তামান্না হিজরা প্রশ্ন ছুড়ে বললেন কেডা ওহানে (কে ওখানে), গেইটের বাইরে থেকে……দরজা খুলেন আমি ইউএনও বলছি। সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলেন। গেইট খুলতেই দেখলেন কম্বল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন ৪-৫ জন। পরিচয় দিলেন সবাই। তাদের গল্পে অংশ নিলেন ইউএনও নিজেও। এ সময় ইউএনও জানালেন আপনাদেরকে কম্বল দিতে এসেছি।

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকাসহ উত্তরাঞ্চলে গত ১০ দিন ধরে প্রচন্ড কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। শীতের দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা না থাকায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন।

তাই উপজেলা প্রশাসন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলোকে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণের উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা।

১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কম্বল বিতরণের জন্য পাখিমারা এলাকায় হিজরাদের সমিতিতে যান ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা। পরে ২০ জন হিজরার মাঝে বিতরণ করা হয় কম্বল।

এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাসান মাহবুব খান, হিজরাদের নেতা তামান্না হিজরাসহ হিজরা সম্প্রদায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।