শেরপুরে সুদের টাকা না পেয়ে কলেজ শিক্ষকের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট, গ্রেপ্তার ৭

শেরপুরে সুদের টাকা না পেয়ে কলেজ শিক্ষকের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

সুদের টাকা পরিশোধ না করায় শেরপুরের নকলা উপজেলার এক কলেজ শিক্ষকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, নগদ অর্থ, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে গেছে এক দাদন ব্যবসায়ীর সাঙ্গপাঙ্গরা। ৫ অক্টোবর বিকেলে উপজেলার রানীগঞ্জ এলাকায় ঘটে এ ঘটনা ঘটে।

ভোক্তভুগী শিক্ষক মাহাদি মাসুদ লিটন স্থানীয় চন্দ্রকোনা কলেজের আইসিটি বিভাগে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ৩২ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশে রাতভর অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রত্যেক আসামিকে ৬ অক্টোবর আদালতে সোপর্দ করা হবে।

শেরপুরে সুদের টাকা না পেয়ে কলেজ শিক্ষকের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহাদি মাসুদ লিটন জানান, শেরপুর সদরের রৌহা হালগড়া গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী সুজনের কাছ থেকে ২০১২ সালে ৫০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে ধার নেন। বিভিন্ন সময়ে সুদের কিছু টাকা পরিশোধও করা হয়। বর্তমানে সুদ ও আসলসহ ৫ লাখ টাকা দেনা হন। এর বিপরীতে জামানত বাবদ ব্যাংক হিসাবের ৬টি ব্ল্যাংক চেক ও ৯ লাখ টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আরও দুটি চেক দেওয়া হয় ওই সুদ ব্যবসায়ীকে। এখন প্রতিমাসে মাসে ৫০ হাজার টাকা সুদ পরিশোধ করা হচ্ছে। বেশ কিছু দিন যাবত সুদের টাকা বকেয়া পড়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে টাকা চেয়ে সুজন হুমকি ধামকি দেন। ৫ অক্টোবর বিকেলে তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে সুজন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেওয়া হয় আধাপাকা বাড়ি। এ সময় লুট করে নেয়া হয় কলেজের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, পাঁচভরি স্বর্ণালংকার ও শ্বশুরের রেখে যাওয়া ৯ লাখ টাকা। পরে এ ঘটনা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ ত্বরিত গতিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

মাহাদির মা জোবেদা বেগম বলেন, দাদন ব্যবসায়ী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, নগদ অর্থ, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এএসপি (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বাকীদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।