যমুনায় জমাট ইউরিয়া সার আর নিবেন না ডিলাররা

যমুনা সার কারখানা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা সার কারখানায় আমদানিকৃত নিম্নমানের ও জমাট বাঁধা নষ্ট সার উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে ডিলাররা। ২২ আগস্ট সকাল থেকে বিসিআইসি’র ডিলাররা এ সার উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ৪১ হাজার মেট্রিক টন আমদানিকৃত ইউরিয়া সার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।

সার ডিলার মো. আকবর আলীসহ আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, প্রতিমাসে বিসিআইসি’র তালিকাভুক্ত ডিলারদের যমুনার ইউরিয়ার সাথে আমদানিকৃত তিন মেট্রিক টন সার গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই তিন মেট্রিক টন আমদানিকৃত সারের বস্তা দীর্ঘদিনের পুরনো, ছেঁড়া-ফাঁটা, জমাটবাধাঁ, গলিত ও পঁচা থাকে। এসব সার কৃষক ক্রয় না করায় মোটা অঙ্কের লোকসান গুণতে হয় ডিলারদের। আমরা তিন মেট্রিক টনের পরিবর্তে এক মেট্রিক টন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ এটা সুরাহা না করায় ২১ আগস্ট দুপুর থেকে আমদানিকৃত পঁচা সার বরাদ্দ বন্ধের দাবিতে সার উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ করে দেন ডিলাররা।

কারখানার বিক্রয় বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মাসের ডিলারদের মধ্যে সার বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪৭ হাজার ৮৫১ মেট্রিক টন। কারখানার কমান্ড এরিয়ায় প্রতি ডিলারদের বরাদ্দ ১২ মেট্রিক টন। এই ১২ মেট্রিক টনের মধ্যে যমুনা সার কারখানার উৎপাদিত ৯ মেট্রিক টন ও বাইরে থেকে আমদানিকৃত তিন মেট্রিক টন সার গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কারখানায় বাইরে থেকে আমদানিকৃত ৪০ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ও যমুনায় উৎপাদিত ৮২ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন সার মজুদ রয়েছে। আমদানিকৃত নিম্নমানের সার গ্রহণ একযোগে সকল ডিলার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে। সার সরবরাহ বন্ধ হলে উৎপাদিত সার মজুত রাখার সমস্যা হবে বলে বিক্রয় শাখা জানায়।

এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুজিদ মজুমদার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ডিলাররা সার গ্রহণ বন্ধ রেখেছে। সারগুলো সরকার আমদানি করেছে। ডিলারদের তো নিতেই হবে। তবে যে সারগুলো ভালো সেগুলো ডিলারদের দেওয়া হবে এবং বিসিআইসি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শিগগির সরবরাহ শুরু হবে।