ইসলামপুরে দুর্ভোগে বন্যার্তরা, বিশুদ্ধ পানি সংকট

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রথম ধকল বন্যা সামলে উঠতে না উঠতেই দ্বিতীয় ধকলে উপজেলার আবারও লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। যমুনার পানি বেড়ে ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

উপজেলার অন্তত ৮টি ইউনিয়ন পৌরসভার প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বসতবাড়ি, ফসলি জমি, নলকুপ বন্যার পানিতে তলিয়ে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। প্রথম দফার বন্যায় পাওয়া ত্রাণ সহায়তা ফুরিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ।

বন্যা দুর্গতরা সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন উচু বাঁধ, সেতু এবং সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলার সাথে আট ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তলিয়ে গেছে পৌর এলাকার ধর্মকুড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। বন্যা কবলিত শিশুরা বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে পুষ্টি হীনতার ভোগছে। এসব এলাকায় পানি বাহিত রোগবালাই দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রে গিয়ে পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানিসহ বানভাসীদের দুর্ভোগ দেখা গেছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণ অপ্রতুল বলে জানা গেছে।

জারুলতলা বাজারের ব্যবসায়ী সুরুজ আলী জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে পানি উঠায় চরম ভূগান্তিতে পড়েছি। ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাহাকার অবস্থায় মধ্যে আছি। এভাবেই বিভিন্ন বাজারে পানি উঠায় দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে বানভাসীদের।

সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছি। ৪৬টি আশ্রয়ন কেন্দ্রে নিজে প্রতিদিন খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রতিনিয়তই চাল, শুকনো খাবার, গো-খাদ্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বানভাসীদের পাশে আছি। এছাড়া সকল চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।