সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বন্যায় সূবর্ণ খালী নদীর বাঁধ ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে ১০২ নম্বর চটহাটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি। এছাড়াও ভাঙ্গনে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে মসজিদ, মকতব, পিডিপির বৈদ্যুতিক খুটিসহ কয়েকটি গ্রাম। এ অবস্থায় বিদ্যালয়, মসজিদ, মকতব, বৈদ্যুতিক খুটি ও গ্রামগুলো রক্ষার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
৬ জুলাই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় স্থানীয় ঝারকাটা, সুবর্না খালী ও ঝিনাই নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। নদীর পানি কমতে শুরু করায় নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে সূবর্ণ খালী নদীর বাঁধ ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে ১০২ নম্বর চটহাটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটিসহ কয়েকটি গ্রাম। ১৯৮৯ সালে ৫২ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথিমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ২০১ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। দু তলা ভবনের বিদ্যালয়টিতে ৬টি কক্ষ আছে। প্রতিষ্ঠার পূর্ব পযন্ত বেসরকারি ভাবে পরিচালিত হলেও ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায়।
চকহাটবাড়ী, কাঠিয়ারবাড়ী, চরধানাটাসহ প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে আরামনগর বাজার, শিমলাবাজার, রেল স্টেশন, বাস টারর্মিনালে যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তাও সূবর্ণ খালী নদীতে বিলীনের দিকে। এর পাশাপাশি হুমকির মধ্যে পড়েছে ওই ১০২ নম্বর চকহাটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। এখনই ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে চটহাটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি। রক্ষা করা যাবে না দুটি মসজিদ, মকতব ও কয়েকটি গ্রাম। অবিলম্বে ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিসহ সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
চকহাটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা. আফরোজা খাতুন বলেন, নদীর তীরবর্তী ৪টি গ্রামের শিক্ষার্থীরা ওই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। নদী গর্ভে বিদ্যালয়টি চলে গেলে ২০১ জন ছেলে মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে তা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এখনই ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেন, বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীনের পথে সেটা জানা ছিলো না। সরেজমিন পরির্দশন করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।