শেরপুরে কাটাখালী গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

৬ জুলাই। এ দিনটি শেরপুরবাসীর মনে বেদনাদায়ক ও ঘটনাবহুল স্মৃতি বহন করে। জেলা সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী ফকির আখতারুজ্জামান বলেন, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে জেলার ঝিনাইগাতীর রাঙামাটিয়া খাটুয়াপাড়া গ্রামে বর্বরোচিত গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা। এটি এখন কাটাখালী-রাঙামাটিয়া গণহত্যা দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর শেরপুর সদর নেটওয়ার্ক’এর সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বলেন, এ দিন পাক হানাদারদের সাথে সন্মুখ যুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের কোম্পানি অধিনায়ক নাজমুল আহসান, মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, মোফাজ্জল হোসেনসহ নাম না জানা আরও অনেক সাধারণ মানুষ শহীদ হন।

মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়েছে জানিয়ে মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর শেরপুর সদর নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, এর অংশ হিসাবে স্বাধীনতার চার দশক পর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবাহী কাটাখালী সেতুটি সংস্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া নালিতাবাড়ীর কৃতি সন্তান ও সাবেক নৌ পরিবহন সচিব ফারুক সামাদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় গণপূর্ত বিভাগ সেখানে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। এখন শহীদ নাজমুল আহসান ও তার শহীদ সহযোদ্ধাদের স্মরণে কাটাখালী সেতু এলাকাকে ‘স্বাধীনতা উদ্যান’ হিসেবে গড়ে তোলারর প্রক্রিয়া চলছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ উদ্যানে দেবদারুসহ নানা জাতের বৃক্ষ রোপণ করবে বলে তিনি জানান।

কাটাখালী-রাঙামাটিয়া গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ৬ জুলাই সকালে কাটাখালী সেতু এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্থানীয় সংগঠন ‘আমরা ১৮ বছর বয়স’ এর আহ্বায়ক তুষার নূর, মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর শেরপুর সদর নেটওয়ার্ক এর সদস্যরা, ডিভাইন হেলপারস এর সভাপতি সোহাগী আক্তার ও পাতাবাহার খেলা ঘর আসরের কর্মী জলিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।