শেরপুরে ভিজিডি কর্মসূচির চালসহ দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০টি কার্ড উদ্ধার

উদ্ধার ভিজিডি কর্মসূচির চাল ও দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০টি কার্ড এবং আটক ব্যবসায়ী বাক্কার আলী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠডটকম

শেরপুরের নকলায় ভিজিডি কর্মসূচির ১০ বস্তা চালসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের ১০টি কার্ডও উদ্ধার হয়। ২৪ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে উপজেলার ৭ নম্বর টালকী ইউনিয়নের পোয়াভাগ মজিদবাড়ী এলাকা থেকে ওইসব উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। আটককৃত ওই ব্যবসায়ীর নাম বাক্কার আলী। তিনি ওই এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ২৪ এপ্রিল বিকালে মজিদবাড়ী এলাকায় ভিজিডি কর্মসূচির সরকারি চাল পাচারকারি সন্দেহে বাক্কার আলীকে ১০ বস্তা চালসহ আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশের কাছে খবর দেওয়া হয়। এ খবর পেয়ে রাত ৮টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় তারা চালসহ দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০টি চাল উত্তোলনের কার্ড উদ্ধার করেন। এবং অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বাক্কার আলীকে আটক করেন।

এছাড়া ঘটনার সময় টালকি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সুলতাল মিয়া আটককৃত চালের গাড়ির পেছনে আসতে থাকায় স্থানীয় লোকজন তাকেও আটক করে গণধোলাই দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই মেম্বার ১০০ সিসি টিভিএস ব্র্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করে।

আটকৃত বাক্কার আলী দাবি করেন, উদ্ধারকৃত চালগুলো তিনি দুঃস্থদের কাছ থেকে কিনেছেন। দুঃস্থ ব্যক্তিরা কার্ডের মাধ্যমে চাল উত্তোলন করে তার কাছে বিক্রি করে ঢাকা চলে গেছেন। ১৯ এপ্রিল ওই চালগুলো সংগ্রহ করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের একটি কক্ষে রেখে আসেন। ২৪ এপ্রিল ওই চালগুলো নিয়ে আসেন। এ বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এবং চৌকিদার অবগত আছেন।

এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আবুল বাসারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বেশ কয়েকবার রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে ১০ বস্তা চাল উদ্ধারের ঘটনায় ৭ নম্বর টালকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর শাহ চাল উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান।