জামালপুরে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু, দাফন হচ্ছে দেওয়ানগঞ্জে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪০ বছর বয়সের একজন পুরুষ ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ২০ এপ্রিল রাতে ময়মনসিংহ নগরীর এস কে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনি মারা যান। তিনি ঢাকায় একটি বাইং হাউজের কর্মী ছিলেন। ২১ এপ্রিল সকালে তার মরদেহ দেওয়ানগঞ্জে তার নিজবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তার দাফনের প্রস্তুতি চলছে। জামালপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জামালপুর জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন ২৪ জন রোগীর মধ্যে দেওয়ানগঞ্জের ওই ব্যক্তিই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হওয়া ইসলামপুর উপজেলার দুই নারীসহ জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো তিনজনে।

সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ এস কে হাসপাতালে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় একটি বাইং হাউজের কর্মী ছিলেন। তার দেহে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দিকাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং জন্ডিসেও আক্রান্ত হন তিনি। গত ১০ এপ্রিল তিনি ঢাকা থেকে তার গ্রামের বাড়ি দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ঠোটাপাড়া গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল টিম ১৩ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠালে ১৫ এপ্রিল পাওয়া ফলাফলে তার করোনা পজিটিভ আসে।

ওইদিন রাতেই তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আনা হয়। কিন্তু অতিমাত্রায় শ্বাসকষ্টসহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিন। জামালপুরের আইসোলেশন সেন্টারে রোগীর ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা না থাকায় ওই রাতেই তাকে ময়মনসিংহ নগরীর এস কে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টানা পাঁচদিনের মাথায় ২০ এপ্রিল রাত ১১টা ২৯ মিনিটে মারা যান তিনি।

জামালপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন চিকিৎসক কে এম শফিকুজ্জামান ময়মনসিংহের এস কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত দেওয়ানগঞ্জের ওই রোগী ২০ এপ্রিল রাত ১১টা ২৯ মিনিটে ময়মনসিংহ এস কে হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি স্ত্রীসহ দেওয়ানগঞ্জে তার নিকটাত্মীয়দের জানানো হয়েছে।’ তিনি আরো জানান, মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী তার স্বামীর মরদেহ ২১ এপ্রিল সকালে দেওয়ানগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইইডিসিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী দেওয়ানগঞ্জেই মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।