দেওয়ানগঞ্জে করোনা সঙ্কটে নিম্নআয়ের মানুষ বিপাকে

লকডাউনে দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের দোকানপাট বন্ধ ও রাস্তা ফাঁকা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় করোনা সঙ্কটে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় নিম্নআয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। দিনমজুর দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা দাঁড়িয়েছে চরম সংকটে। আয় রোজগার বন্ধ থাকায় হতাশায় রয়েছে দরিদ্র ও কর্মহীন হাজার হজার পরিবার।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকে উপজেলা প্রশাসন করোনা প্রতিরোধে কাজ করছেন। উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন মানুষকে করোনাভাইরাস বিষয়ে সচেতনামূলক প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ দূরত্ব বজায় রাখতে শহর, হাট-বাজার ফাঁকা করে দিয়েছেন।

যানবাহন বন্ধ করে দেওয়ায় ভ্যান, রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি চালক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। যার ফলে আয়ের পথ বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন যাপন করছেন তারা। এ ছাড়াও জেলে, ভিক্ষুক, হোটেল, সেলুন শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে বিপাকে রয়েছেন। অনেক পরিবার না খেয়েও রয়েছেন।

১৪ এপ্রিল সকালে উপজেলার পার রামরামপুর ইউনিয়নের বাশঁতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দরিদ্র পরিবারগুলোয় খাদ্যের জন্য হাহাকার বিরাজ করছে। ভ্যানচালক সাকুমিয়া, সিএনজিচালক ইসমাইল হোসেনসহ কয়েক জন চালক জানান, এ পর্যন্ত কোন সরকারি, বেসরকারি ত্রাণ সামগ্রী পাননি তারা। দিনে কোন রকম একবেলা খেয়ে থাকেন।

উপজেলায় এনজিওসহ বেসরকারি কোন সংগঠনকেও কোন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায়নি। তবে উপজেলা প্রশাসন সরকারি বরাদ্দের যে পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন তা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হাসান জানান, আটটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ ৮৩ মেট্রিক টন চাল ও তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকা ও শিশু খাদ্যের জন্য ৪৬ হাজার টাকা নগদ বরাদ্দ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬৪ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দুই লাখ টাকার বিভিন্ন সবজি বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া জানান, সরকারের বরাদ্দের ত্রাণ সঠিকভাবে বিতরণ করা হয়েছে এবং বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। যাতে কোন কর্মহীন, দরিদ্র পরিবার না খেয়ে থাকে সে দিকে লক্ষ্য রেখে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সবাইকে ধৈর্য্য ধরে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।