করোনা প্রতিরোধে নকলায় ফার্মেসি ও দোকানে গোলবৃত্ত

শেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে ফার্মেসি ও দোকানের সামনে ক্রেতাদের তিন ফুট দূরত্ব নিশ্চিতের গোল চিহ্ন একে দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে শেরপুরের নকলা পৌরশহরের হাসপাতাল, হলপট্রি ও নালিতাবাড়ি মোড়ের ফার্মেসি ও দোকানগুলোতে ক্রেতাদের তিন ফুট দূরত্ব নিশ্চিতের গোল চিহ্ন একে দিল শেরপুর জেলা পুলিশ। ক্রেতা যাতে দূরত্ব বজায় রেখে গোল বৃত্ত অবস্থান নিয়ে ওষুধ ও অন্যান্য মালামাল ক্রয় করতে এ চিহ্ন বা বৃত্ত আঁকা হয়। ২৮ মার্চ সকালে এ গোল বৃত্ত আঁকা হয়।

জানা যায়, দেশব্যাপী যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত না হয় এবং সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের ঘোষিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে নকলা থানা পুলিশ ফার্মেসিগুলোর সামনে এ গোল চিহ্ন একে দেন। ক্রেতারা যেন তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ওষুধ ক্রয় করেন তা নিশ্চিত করতেই এ গোল চিহ্ন একে দেওয়া হয়। বাজারের সব কয়টি ফার্মেসিতে এ চিহ্ন আঁকা হয়। এ সময় ক্রেতাদের গোল বৃত্ত ব্যবহার করা অনুরোধ করা হয়। ক্রেতারাও বৃত্ত ব্যবহার করে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে জিনিসপত্র ক্রয় করতে দেখা যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আজ আমরা এই দোকানগুলোর সামনে বৃত্ত একে দিই। দোকানগুলোর বৃত্ত ব্যবহার করে যদি জিনিসপত্র ক্রেতা নেন তাহলে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে এবং করোনাভাইরাস সংক্রমিত হবে না।

এ সময় নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন শাহ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব ভৌমিক, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রতন চৌধুরীসহ থানা পুলিশের অন্যন্যা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।