জামালপুরে বিড়ি শ্রমিকদের পাঠানো হলো বাড়িতে

বজরাপুরে বিড়ি কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে একটি বিড়ি কারখানার নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ছুটি না দিয়ে শ্রমিকদের কাজ করানোর দায়ে কারখানাটির একজন কর্মচারীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২৬ মার্চ বিকেলে শহরের বজরাপুরে এ অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম আকাশ কুমার কুণ্ডু।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর শহরের বজরাপুরের ওই বিড়ির কারখানায় শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী হাকিম আকাশ কুমার কুণ্ডু ২৬ মার্চ বিকেলে ওই কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল ওই কারখানায় অন্তত ৭০ জন নারী-পুরুষ শ্রমিককে বিড়ি তৈরির কাজ করতে দেখেন। এ ব্যাপারে কারখানাটির কর্মচারী মো. মনির হোসেনের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দন্ডবিধি ২৬৯ ধারায় বর্ণিত অবহেলিত কার্যদ্বারা জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রমণ বিস্তার লাভ করার সম্ভাবনা থাকার অভিযোগ আনা হয়।

দোষ স্বীকার করায় কারখানার কর্মচারী মো. মনির হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে পাঁচদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। পরে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে ছাড়া পান ওই কর্মচারী। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কারখানাটির সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিলে শ্রমিক কর্মচারীরা সবাই কারখানা ত্যাগ করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী হাকিম আকাশ কুমার কুণ্ডু ওই কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে একজনকে জরিমানা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।