সরিষাবাড়ীতে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

আরামনগর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় পৃথক স্থানে অগ্নিকাণ্ডে সাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দুইটি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম নিহত হয়েছে। ১৫ মার্চ রাতে উপজেলার পৌর এলাকার আরাম নগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় আরামনগর বাজার সুইপার কলোনির পাশে নজরুলের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্র হয়। সেখান থেকে আগুন আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে দমকল বাহিনী ঘটনা স্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

অপরদিকে ১৫ মার্চ দিবাগত রাত তিনটার দিকে আরামনগর বাজার বীজ হাটিতে রকিবুল ইসলাম রানার ইলেকট্রিকের দোকানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেখান থেকে মুহূর্তে পাশের দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আলম মিয়ার রেস্তোরার দোকান, সোকিল মিয়ার বীজের দোকান, ছামিউল ইসলামের মোবাইল সার্ভিসের দোকান, রাজু মিয়ার মুড়ির দোকান, গিয়াস উদ্দিন ও সোবাহান মিয়ার চালের দোকান পুড়ে যায়। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দমকল বাহিনী একঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরামনগর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এ দিকে আগুন নেভাতে এসে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যান সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম। সহকর্মীরা উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার ঠিকড়াপাড়া নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হলে ১৬ মার্চ সকাল ১১টায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বলে মুঠোফানে জানান মরহুমের ভাগনে এস কে আজাদ।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, ১৫ মার্চ রাতে পৃথক দুই স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে সাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দুইটি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম হৃদরোগে মারা যান।