সরিষাবাড়ীতে মূর্তিসদৃশ ডাস্টবিন অপসারণ

বিদ্যালয় ও পুরাতন জামে মসজিদের পাশ থেকে সরানো হয় মূর্তিসদৃশ ‘মাঙ্কি ডাস্টবিন’। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার একটি বিদ্যালয়ের ফটক সংলগ্ন সড়কে হনুমানের মূর্তিসদৃশ ‘মাঙ্কি ডাস্টবিন’ স্থাপন করায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে এলাকাবাসীর চাপের মুখে ‘মাঙ্কি ডাস্টবিন’ অপসারণ করলেন মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন।

গত ১৩ ও ১৪ মার্চ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিদ্যালয় ও মসজিদের গা ঘেঁষে মূর্তিসদৃশ ডাস্টবিন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে পৌর কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। অবশেষে পৌরবাসীর তীব্র সমালোচনার মুখে ১৫ মার্চ সকালে মূর্তি সাদৃশ্য ডাস্টবিন অপসারণ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র রুকনুজ্জামান রুকন গত ৬ মার্চ বিভিন্ন স্থানে হনুমানের মূর্তিসদৃশ কয়েকটি ডাস্টবিন স্থাপন করেন। এর মধ্যে সরিষাবাড়ী রাণী দিনমনি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ফটকে পুরাতন জামে মসজিদের সামনের সড়কেও একটি ডাস্টবিন বসানো হয়। মূর্তিসদৃশ ‘মাঙ্কি ডাস্টবিন’ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপাশেই মসজিদের পেশ ইমাম মাও. শফিকুল ইসলাম ১৩ মার্চ জুমার নামাজের খুতবায় মূর্তির ডাস্টবিন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তা দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।

এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পৌরবাসীর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন মেয়র। অবশেষে ১৫ মার্চ সকালে মেয়রের নির্দেশে তাঁর লোকজন একটি ভ্যানগাড়িযোগে ওই মূর্তিসদৃশ ডাস্টবিনটি সরিয়ে ফেলে।

পৌরসভা সূত্র জানায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় পৌরসভায় ৫০টি ‘মাঙ্কি ডাস্টবিন’ বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়। প্রতিটি ডাস্টবিন বাবদ ৩৯ হাজার টাকা করে মোট ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ডাস্টবিনগুলো সরকারি টাকায় বসানো হলেও প্রতিটির গায়ে লেখা হয়েছে ‘সৌজন্যে মেয়র রোকন’। যা নীতিমালা পরিপন্থী। নাগরিকদের মতে, অধিকাংশ রাস্তাঘাটই খানাখন্দ; সামান্য বৃষ্টিতে যেখানে হাটু পানি জমে, সেই মফস্বল শহরে এসব ডাস্টবিন নাগরিকদের সাথে তামাশা ও সরকারি টাকা জলে দেওয়া।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন বলেন, ‘পৌর এলাকায় ৫০টি মাঙ্কি ডাস্টবিন স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। ১০টি মাঙ্কি ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। তবে সমালোচনা হওয়ায় বাকিগুলোর ডিজাইন পরিবর্তন করে গাছের আদলে বানানো হবে। মাঙ্কি ডাস্টবিনগুলোর টাকা যাতে অপচয় না হয়, সেজন্য সেগুলো যে কোনো পার্কে স্থানান্তর করা হবে।’