সরিষাবাড়ীতে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২০

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পরীক্ষার্থীদের দেখতে সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালের সামনে সহপাঠী ও অভিভাবকদের ভীড়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে উত্তরপত্র দেখতে না দেওয়ায় দু’স্কুলের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পরীক্ষার শেষে উপজেলার চাপারকোণা মহেশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অন্তত ২০ জন পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি’র গণিত বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার চাপারকোণা মহেশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১০৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা চলাকালে কুঠির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী সোহাগ হাসানের কাছে উত্তরপত্রের একটি প্রশ্ন দেখতে চায় হরখালী মুজিবুর রহমান আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী নাঈম হাসান, আজাদ, বাবু মিয়া ও ইয়াসিন আলম। তারা বারবার উত্তরপত্র দেখতে চাইলেও দেখাতে পারবে না জানিয়ে দেয় পরীক্ষার্থী সোহাগ হাসান। এতে পরীক্ষার পরে সোহাগ হাসানকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয় নাঈম হাসানসহ তার সহযোগী বন্ধুরা। পরীক্ষা শেষ করে কেন্দ্রের প্রধান ফটকে দলবল নিয়ে জড়ো হয় নাঈম হাসানসহ তার বন্ধুরা।

সোহাগ হাসান পরীক্ষা শেষ করে বের হলে তাকে দেখে তার ওপর চড়াও হয় সংঘবদ্ধ দলটি। একপর্যায়ে হামলা চালিয়ে মারধর করতে থাকে সোহাগকে। এ সময় সাধারণ (অন্যান্য) পরীক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে নাঈম হাসানসহ তার সহযোগী বন্ধুরা। পরে কেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় আবারো দু’দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে।

এ ঘটনায় আহত হয়- সোহাগ হাসান, নাহিদ হাসান, হৃদয় হাসান, শরিফুল ইসলাম, সুখি খাতুন, সোহেল রানা, মিনহাজ, রাজু মিয়া, রূপা আক্তার, সূবর্ণা আক্তার, ঝিনুক আক্তার, নাভীব হোসেন, শারমিনা আক্তার, জাকারিয়া ইসলাম, সোহেল প্রমুখ। এ সংঘর্ষ চলাকালে সোহাগ হাসান ও জাকারিয়া ইসলামের কাছ থেকে পরীক্ষার দুটি প্রবেশপত্র ছিনিয়ে নেয় হামলাকারী শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়েছিলাম এবং তাদের সুচিকিৎসার নেয়ার ব্যবস্থাসহ অর্থও দেওয়া হয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা অনিয়মিত পরীক্ষার্থী। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।