দেওয়ানগঞ্জে এনএসভিসি কার্যক্রম পরিদর্শনে যৌথ পরিবীক্ষণ দল

দেওয়ানগঞ্জে এনএসভিসি প্রকল্পের কৃষক মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুলাইমান হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

উন্নয়ন সংঘের এনএসভিসি প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে ১১ ফেব্রুয়ারি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় উচ্চ পর্যায়ের সরকারি, বেসরকারি যৌথ পরিবীক্ষণ দল কর্ম এলাকা পরিদর্শন করেন। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুলাইমান হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া। একই সাথে পরিবীক্ষণ দল কৃষক মাঠ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় অংশ নেন।

উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের বাদে শশারিয়াবাড়ী এলাকায় কৃষক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের পরিচালক কর্মসূচি নারায়ণ চন্দ্র দাস। এতে অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের এনএসভিসি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক রঞ্জন রোজারিও, কৃষি বিশেষজ্ঞ সুনীল কুমার মৃধা, সাংবাদিক খাদেমুল ইসলাম, উন্নয়ন সংঘের উপজেলা সমন্বয়কারী শরীফ উদ্দিন প্রমুখ। সভায় এলাকার ১৬০ জন উৎপাদক দলের সদস্য কৃষক ও কৃষাণীরা অংশ নেন।

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উচ্চ ফলনশীল মরিচ চাষ প্রদর্শনীর প্রযুক্তি, পদ্ধতিসমূহ ও ফলাফল অন্যান্য চাষীদের মাঝে শিখন বিনিময়ের মাধ্যমে বিস্তার করা এবং চর্চা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিবীক্ষণ দল প্রদর্শনী ক্ষেত পরিদর্শন করেন এবং এনএসভিসি প্রকল্পের কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা এধরনের মাঠ দিবস ও কৃষকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধমূলক কার্যক্রম প্রত্যেক এলাকায় আয়োজন করার পরামর্শ দেন।

প্রকাশ অপুষ্টির অভিশাপ থেকে মুক্তি, নারী পুরুষ সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ, দুর্যোগ সহনশীল পরিবেশ গড়ে তোলা, জলবায়ু পরিবর্তনের ধারার সাথে খাপ খাওয়ানো এবং টেকসই কৃষি ও ক্ষুদ্র কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির জন্য উপযুক্ত বাজার সৃষ্টিসহ নানাবিদ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সামনে রেখে ডিফেট অস্ট্রেলিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত বিশ্বের অন্যতম মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ জামালপুরে নিউট্রিশন সেনসেটিভ ভেল্যু চেইনস ফর স্মলহোল্ডার (এনএসভিসি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন সদর উপজেলায় এবং অংশীদার সংস্থা হিসেবে উন্নয়ন সংঘ জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। জেলার তিনটি উপজেলার মোট ২০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকার পাচ্ছে।