বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ১৯ জানুয়ারি শেষ হলো তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা মুসিবত থেকে হেফাজত ও মুসলীম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়।
দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মুলিম সমাবেশে ভারতের দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজের শূরা সদস্য মাওলানা জামশেদ বেলা ১১টা ৫০মিনিট থেকে ১২টা ৭মিনিট পর্যন্ত মোট ১৭ মিনিট মোনাজাত পরিচালনা করেন। মাওলানা জামশেদ সমগ্র বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর গুনা মাফ করার জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানান।
দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ১৯ জানুয়ারি সকাল থেকে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার মুসল্লী ইজতেমা ময়দানের দিকে ছুটে এসেছেন। সকালে মুসল্লিদের আগমন বাড়তে থাকে।
ইজতেমা ময়দানের আশপাশ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ ও আব্দুল্লাহপুর- আশুলিয়া সড়কে মুসল্লিদের ঢল লক্ষ্য করা গেছে।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা অংশগ্রহণ করেছেন। বিশ্বের অনেক দেশ থেকেই এসেছেন বিদেশি মেহমান। ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকে এসেছেন ৩২ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের মুসল্লিদের সুবিধার্থে ১৬টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া সব আন্তঃনগর ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রা বিরতি করে। বিআরটিসি’র শতাধিক বিশেষ বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী ও আশপাশ এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাঁচ স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রাখা হয় বলে জানিয়েছে জেলা ও মহানগর পুলিশ।
এ বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় ১০ জানুয়ারি। ১২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাওলানা জুবায়ের অনুসারিদের প্রথম পর্ব শেষ হয়।
প্রথম পর্বে ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেন। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমাতেও দিল্লির মাওলানা সা’দ অনুসারী ৬৪ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেছেন।
বিশ্ব ইজতেমায় গিয়ে ১৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এবারের দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নিতে গিয়ে ১০ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। টঙ্গী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, বার্ধক্যজনিত কারণে ও দুর্ঘটনায় তারা মারা যান।সূত্র:বাসস।